দুর্গাপূজা পালনে নিয়ম বিধি কড়াকড়িভাবে মেনে চলতে হবে

অমৃতসরে আসন্ন হিন্দু উত্সব দুর্গাপূজার প্রস্তুতির জন্য একজন কারিগর হিন্দু দেবী দুর্গার একটি মাটির মূর্তিতে কাজ করছেন।

পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার আর মাসখানেকও বাকি নেই। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এই বিশাল জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব কীভাবে নিরাপদে সম্পন্ন করা যায় তাই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসনের চিন্তার শেষ নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ এ ব্যাপারে কলকাতার বড় বড় পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁদের নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠকে ডেকেছিলেন। সেই বৈঠকে উদ্যোক্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা, পুলিশের আধিকারিকরা, কলকাতা পুরসভার কর্মকর্তারা এবং কয়েকজন বিশেষজ্ঞ। মোটামুটিভাবে ঠিক হয়েছে, প্রতিটি পুজো মণ্ডপ খোলামেলাভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে তিন দিক খোলা থাকে এবং লোকজন বাইরে থেকে প্রতিমা দর্শন করেই চলে যেতে পারে। পুজো মণ্ডপের ভেতরে কখনোই ৪/৫ জনের বেশি থাকতে পারবেন না। যাঁরা থাকবেন তাঁদের সকলকে মুখে মাস্ক পরে থাকতে হবে। পুজো প্যান্ডেল বেশি উঁচু করা যাবে না, যাতে স্যানিটাইজ করতে অসুবিধে না হয়। এ ছাড়া প্রসাদের ফল কেটে দেওয়া যাবে না, সব আস্ত দিতে হবে। পুজোর ভোগ রান্নাতেও যথাবিধি নিরাপত্তার নিয়মকানুন পালন করতে হবে। কয়েক বছর ধরে রেড রোড দিয়ে কলকাতার বড় পুজোগুলোর প্রতিমা শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে গিয়ে গঙ্গার ঘাটে বিসর্জন দেওয়া হয়। এটাকে বলে পূজা কার্নিভাল। এবারের পূজা কার্নিভাল যদি বা হয় সেখানে রাস্তার দু'পাশে কোনও লোক থাকবে না, কারণ দর্শক থাকলেই ভিড় হবে। এই জন্য বিসর্জনের নিয়মও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ঘাটে কতজন থাকবেন, প্রতিমা নিয়ে কতজন গঙ্গায় নামতে পারবেন ইত্যাদি। এই ধরনের বেশ কিছু কথাবার্তা হয়েছে যা সরকারিভাবে নোটিস এর মতো করে দু-এক দিনের মধ্যে পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেই নিয়ম বিধি কড়াকড়িভাবে মেনে চলতে হবে, তা নয় তো পুজো বন্ধ। দুর্গাপূজার সময় বহু মৃৎশিল্পী কারুশিল্পী আলোশিল্পী এবং অন্যান্য মানুষ যাঁরা বছরের এই কটা দিন একটু বাড়তি রোজগারের মুখ দেখেন, তাঁদের কথা ভেবেই এবার নিয়ম বিধি মেনে সংক্ষিপ্তভাবে পুজো অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

Your browser doesn’t support HTML5

দুর্গাপূজা পালনে নিয়ম বিধি কড়াকড়িভাবে মেনে চলতে হবে