নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তিন কৃষি আইন বাতিলের পদক্ষেপ নিতে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেন ভারতের কৃষক নেতা। তার মধ্যে কেন্দ্র কিছু না করলে আন্দোলন, প্রতিবাদের মাত্রা বাড়বে, হুঁশিয়ারি তাঁর। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন নেতা ট্যুইট করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। তারপর ২৭ তারিখ থেকে গ্রাম থেকে ট্রাক্টরে চেপে দিল্লির আশপাশে সীমান্তের প্রতিবাদস্থলে পৌঁছবেন, রীতিমতো দুর্গ গড়ে প্রতিবাদ আরও জোরদার করবেন।
केंद्र सरकार को 26 नवंबर तक का समय है, उसके बाद 27 नवंबर से किसान गांवों से ट्रैक्टरों से दिल्ली के चारों तरफ आंदोलन स्थलों पर बॉर्डर पर पहुंचेगा और पक्की किलेबंदी के साथ आंदोलन और आन्दोलन स्थल पर तंबूओं को मजबूत करेगा।#FarmersProtest
— Rakesh Tikait (@RakeshTikaitBKU) November 1, 2021
গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে কেন্দ্রের পাশ করা তিনটি আইন তাদের স্বার্থের ক্ষতি করবে বলে দাবী করে দিল্লির তিন সীমান্ত, টিকরি, সিঙ্ঘু ও গাজিপুরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা। এতদিনেও সমস্যার সমাধানসূত্র বেরয়নি। তার মধ্যেই কেন্দ্রকে ফের হুঁশিয়ারি টিকায়েতের। সম্প্রতি পুলিশ সীমান্তের যেখানে যেখানে প্রতিবাদী কৃষকরা তাঁবু খাটিয়েছিলেন, সেগুলি সরিয়ে দেয়। কৃষকরা আবারও সেগুলি শক্তপোক্ত করে বানাবেন বলে জানিয়েছেন টিকায়েত। গতকালও তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন, জোর করে কৃষকদের সীমান্ত থেকে সরানোর চেষ্টা হলে তাঁরা দেশজুড়ে সরকারি অফিসগুলিকে ‘গাল্লা মান্ডি’ বানিয়ে তুলবেন!
আন্দোলনকারী কৃষকদের আশঙ্কা, তিনটি কৃষি আইন চালু হলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি/ msp) ব্যবস্থা উঠে যাবে, তাঁরা বড় বহুজাতিক সংস্থার খপ্পরে পড়বেন। তাই নয়া আইন বাতিল করে কেন্দ্র এমএসপি সুনিশ্চিত করে আইন পাশ করুক। যদিও কেন্দ্রের দাবি, কৃষকদের এই আশঙ্কা অমূলক। বেশ কয়েক দফা আলাপ আলোচনার পরও জটিলতা কাটেনি।
তার মধ্যেই কৃষক অবস্থান প্রত্যাহারের দাবিতে পেশ হওয়া পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট কড়া মনোভাব দেখিয়ে বলেছে, আন্দোলনের অধিকার আছে, কিন্তু তা বলে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করে বসে থাকা যায় না।