দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ ও জোর করে দেহ সত্কারের ঘটনায় তোলপাড় ভারত

ধর্ষণের শিকারে মৃত্যুর পর বিক্ষোভ চলাকালীন ভারতের সমাজতান্ত্রিক ঐক্য কেন্দ্রের (এসইউসিআই) একজন কর্মী একটি প্ল্যাকার্ড ধরে আছেন।

ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ ও পুলিসের জোর করে দেহ সত্কারের ঘটনায় তোলপাড় সারা দেশ। নির্মম নির্যাতনের শিকার হাথরসের তরুণী টানা ১৫ দিন হাসপাতালে লড়াই করার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মৃত্যুর পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে রাতের অন্ধকারে নির্যাতিতার দেহ চুপিসারে দাহ করে ফেলে পুলিস প্রশাসন বলে অভিযোগ। এই ঘটনা সামনে আসতেই দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। আজ নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হাথরাসে যাওয়ার পথে পুলিসের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি হয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। তুমুল ধাক্কাধাক্কির পর গ্রেফতার করা হয় রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। গ্রেফতার প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, আমি একা যেতে চেয়েছি। একা গেলে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হয় না। একইসঙ্গে তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, "দুঃখের সময়ে প্রিয়জনদের একা রাখা হয় না। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করা, সরকারকে ভয় পাওয়াচ্ছে। এত ভয় পাবেন না, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ!" এদিকে উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন যাঁরা বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলেন, তাঁরা একটু উত্তরপ্রদেশের দিকে তাকান।"

Your browser doesn’t support HTML5

দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ ও জোর করে দেহ সত্কারের ঘটনায় তোলপাড় ভারত