বিহার থেকে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)-এর গোয়েন্দাদের হাতে ধৃত পাঁচ জঙ্গির সঙ্গে আইএসের যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। বড়সড় নাশকতার লক্ষ্যেই তারা এগচ্ছিল বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা। বিহার-বাংলা সীমান্তে সংগঠনকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতেই তারা কাজ করছিল। ধৃত পাঁচ জঙ্গির মধ্যে যে দুই পাক নাগরিক রয়েছে, তারাই ইরাক ও সিরিয়ার আইএস নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি তারা এরাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া বেশ কয়েকটি জেলাতেও ঘুরে গিয়েছে বলে এনআইএ সূত্রে খবর। এখানকার সীমান্ত লাগোয়া কোনও জেলায় এই জঙ্গিরা জেহাদি শিবির খুলেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারত-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া বিহারের রক্সৌল থেকে পাঁচ জঙ্গি গ্রেপ্তার হয় এনআইএ’র হাতে। এদের মধ্যে রয়েছে দুই পাক নাগরিক। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বিহারের বেশ কিছু জায়গার ম্যাপসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। নির্দিষ্ট সূত্র মারফত খবর পেয়ে এনআইএ’র গোয়েন্দারা ওই জঙ্গি ডেরায় হানা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যাচ্ছে, নেপাল কাছে হওয়ায় তারা ওই জায়গায় ডেরা বেঁধেছিল। বিহারে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের মডিউল ভেঙে যাওয়ার পর এই জঙ্গি সংগঠনের হয়ে যারা কাজ করছিল, তাদের একজোট করার কাজ শুরু করেছিল তারা। আইএম জঙ্গিদের নিয়ে নতুন একটি মডিউল এখানে খোলা হয়েছিল, যারা আইএসের হয়ে কাজ করছিল। পাশাপাশি আলাদা একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরির কাজও শুরু করেছিল তারা। এরজন্য কিছু যুবককে তারা নিয়োগও করেছে। ধৃত দুই পাক নাগরিকের কাছ থেকে এনআইএ’র গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সদ্য নিযুক্ত জেহাদিদের পাকিস্তানে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। এরজন্য ওই যুবকদের নেপাল হয়ে পাকিস্তানে পাঠানোর ছক ছিল। নেপালেই তাদের পাসপোর্ট তৈরি করা হত। পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ শেষ করে তাদের মধ্যে থেকে বাছাই করা কয়েকজনকে সিরিয়ায় পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে শুধু বিহারই নয়, এরাজ্য এবং ঝাড়খণ্ডে তারা জেহাদি কার্যকলাপকে চাঙা করতে চাইছিল। সেই কারণেই এরাজ্যেও তারা যাতায়াত শুরু করে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষ রায়।
Your browser doesn’t support HTML5