সেই বিংশ শতকের তিরিশের দশকে বাবাসাহেব আম্বেদকর সমাজের পিছিয়ে-থাকা তফশীলি জাতি ও উপজাতির মানুষদের জন্য সংরকক্ষণের প্রস্তাব তুলেছিলন। পরে ভারতের সংবিধান রচনার সময় ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণের অধিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ভাবা হয়েছিল, এক দশকের মধ্যেই সমাজের অগ্রবর্তী শ্রেণির সমকক্ষ হয়ে উঠবেন পিছিয়ে-থাকা মানুষেরা। বড়জোর ১০ বছর পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা যাবে। কিন্তু সংবিধান রচনার পরে ৬৫ বছর কেটে যাওয়ার পরে দেখা যাবে, সংরক্ষণের সমাপ্তি ঘোষণার কথা উচ্চারণ করে না কোনও রাজনৈতিক দলই। উল্টে সংরক্ষণ যেন শর্টকাটে সাফল্যের সিঁড়ি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংরক্ষণ যারা পেয়েছে, তার যে কোনও মূল্যে তা বরাবরের জন্য আঁকড়ে রাখতে চাইছে। ও দিকে, নতুন নতুন জাতি গোষ্ঠী নিজেদের সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। উত্তর ভারতের জাঠ জনগোষ্ঠীই হোক কিংবা গুজরাটেই পাতেদার জনগোষ্ঠীই হোক, নিজেদের সংরক্ষণের সুবিধে পেতে আন্দোলনের ডাক দিলে ব্যাপক সমর্থন জুটে যাচ্ছে নিজেদের গোষ্ঠীর মধ্যে। আম্বেদকর কি ভেবে সংরক্ষণের নিয়ম সংবিধানে নিয়ে এসেছিলেন, আর আজ তা কি হয়ে দাঁড়িয়েছে!গৌতম গুপ্তের রিপোর্ট:
Your browser doesn’t support HTML5
gupta