ভারতে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেশের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় দুই অপরাধীর প্রাণভিক্ষার আর্জি প্রত্যাখ্যান করেছেন

ভারতে দুহাজার সাত সালে জ্যোতিকুমারী ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেশের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় দুই অপরাধীর প্রাণভিক্ষার আর্জি প্রত্যাখ্যান করেছেন। গত বারোই মে রাষ্ট্রপতির কাছে এই আর্জি পাঠানো হয় এবং গত ছাব্বিশ তারিখ তা নাকচ করেন তিনি। পাশাপাশি ইন্দোরের চার বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত তিন জনের প্রাণভিক্ষার আর্জিও রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দিয়েছেন।পুনের ঘটনায় অপরাধী যুগলের নাম পুরুষোত্তম বোরাটে ও প্রদীপ কোকাডে। এই মুহূর্তে তারা পুনের ইয়েরওয়াড়া জেলে। বাবা মা বৃদ্ধ হয়েছেন যুক্তি দেখিয়ে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে তারা। আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবার তাদের ফাঁসির দিন ঠিক করবে। প্রসংগত বলা যেতে পারে বিপিও কর্মী জ্যোতিকুমারী উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা ছিলেন, কর্মসূত্রে ছিলেন পুনেয়। থাকতেন দিদি, জামাইবাবুর সঙ্গে। ঘটনার দিন অফিসের পর ট্যাক্সি চালক পুরুষোত্তম বোরাটে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নামে তাঁকে নিজের গাড়িতে তুলে নেয়। সে তাঁর অফিসেই গাড়ি চালানোর কাজ করায় জ্যোতির সন্দেহ হয়নি। তারপর তাঁকে এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে পুরুষোত্তম ও প্রদীপ তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করে। এই ঘটনার পর নির্বিকারভাবে তারা ওই সংস্থার আর এক কর্মীকে তুলতে তাঁর বাড়ি পৌঁছে যায়। বলে, টায়ার পাংচার হয়ে যাওয়ায় আসতে দেরি হয়েছে।এই অপরাধ বিরলের মধ্যে বিরলতম বিবেচনায় দুহাজার বারো সালে পুনের সেশনস কোর্ট এই দুজনকে ফাঁসির সাজা দেয়। সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখে সেই সাজা।পাশাপাশি ইন্দোরের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় জিতেন্দ্র ওরফে জিতু, বাবু ওরফে কেতন ও সানি ওরফে দেবেন্দ্রকে।এই দুই সিদ্ধান্তের পর রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব মুখোপাধ্যায় তিরিশটি প্রাণভিক্ষার আর্জি প্রত্যাখ্যান করলেন বলে জানা গেছে।

Your browser doesn’t support HTML5

কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষরায়ের রিপোর্ট