ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নতুন শিক্ষানীতি গ্রহণ করেছে

আজ শুক্রবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে দিল্লি থেকে লাইভ ভিডিও বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে আদর্শ নিয়ে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, শিক্ষা হবে বন্ধনহীন, আজকের ছাত্ররা যাতে সেই শিক্ষাই পেতে পারে, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নতুন শিক্ষানীতি গ্রহণ করেছে। চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী শান্তিনিকেতনের আম্রকুঞ্জে এই সমাবর্তন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। যে সব ছাত্র ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট পেলেন, তাঁরা এবং বিশ্বভারতীর শিক্ষকেরা বাদে আর কেউ উপস্থিত ছিলেন না। করোনার নতুন বিধি অনুযায়ী অভিভাবকদের কাউকে ডাকা হয়নি। পদাধিকার বলে বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী মোদি বক্তৃতায় বারবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা বলেন।

Your browser doesn’t support HTML5

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নতুন শিক্ষানীতি গ্রহণ করেছে

মোদি বলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চেয়েছিলেন বাংলার কৃষক আরও ভালো কৃষিজ্ঞান অর্জন করুন, বাংলার খেতখামারে আরও অনেক ফসল ফলুক, খাদ্য উৎপাদন হোক। তার জন্য তিনি শ্রীনিকেতনে আলাদা করে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেছিলেন। বিশ্বভারতীর এখনকার ছাত্ররা যেন কৃষকদের সেই শিক্ষা অর্জনে সাহায্য করেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নরেন্দ্র মোদির আজকের বক্তৃতায় কৃষকদের কথা তোলার সমালোচনা করে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী একদিকে কৃষকদের ভাতে মারার ব্যবস্থা করছেন, অন্যদিকে কৃষকদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছেন।

পশ্চিমবঙ্গের ওপর বিজেপির যে নজর রয়েছে এবং তা ক্রমেই বাড়ছে তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আগামী ২২শে ফেব্রুয়ারি মোদি আর একবার পশ্চিমবঙ্গে আসবেন। তার পর আসবেন ২৮শে ফেব্রুয়ারি। এই দুটো দিনই তাঁর সরকারি কর্মসূচি রয়েছে। এর পরে আগামী ৭ই মার্চ মোদি ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে জনসভায় বক্তৃতা দেবেন বলে কথা আছে। কখনও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্, কখনও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কখনও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বারেবারে পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা ভোট এখন বিজেপির পাখির চোখ হয়ে দাঁড়িয়েছে।