বাংলাদেশে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। গত মাসে সংক্রমণের হার ছিল দুই শতাংশ। এখন ১৩ শতাংশে লাফ দিয়েছে। গত দু'দিনের চিত্রে সব হিসাবনিকাশ পাল্টে গেছে। সংক্রমণ সাড়ে তিন হাজারের নিচে নামছে না। মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে একই গতিতে। ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। কোথা থেকে, কীভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তার একটা ধারণা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তার মতে, কক্সবাজার, বান্দরবান ও কুয়াকাটায় লাখ লাখ মানুষ মিলিত হচ্ছেন। সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। প্রাথমিক রিপোর্টে এমন ধারণাই পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, জনসমাগম কমাতে হবে। তা নাহলে বিপদ বাড়বে। মনে রাখতে হবে, লাখ লাখ মানুষকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়। পৃথিবীর কোনো দেশই তা পারে না। বাংলাদেশ কীভাবে এত লোকের চিকিৎসা দেবে? তাই সময় নষ্ট না করে নিজের তাগিদেই জনসমাগম এড়িয়ে চলুন।
Your browser doesn’t support HTML5
এই অবস্থায় মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। ২রা এপ্রিল এক লাখ ২২ হাজার শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেবেন। উচ্চ আদালতে পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে করা একটি রিট খারিজ হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, সংক্রমণ বাড়ার মধ্যেই আমাদেরকে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। তা নাহলে বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। করোনা সংক্রমণ থামাতে রাজধানীর দোকান-পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাত আটটার মধ্যে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, সংক্রমণ রুখতে এছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
ওদিকে ৩০শে মার্চ স্কুল-কলেজ খুলছে না বলেই মনে হচ্ছে। করোনার সংক্রমণের কারণে ছুটি আরও বাড়তে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা। গত বছরের ১৮ই মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।