প্রেসিডেন্ট ওবামা,যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নেতৃস্থানীয় বিধায়কদের সঙ্গে ইরাক নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছেন

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা,যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নেতৃস্থানীয় বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন,ইরাক পরিস্থিতি পর্যালোচনার লক্ষে এবং জঙ্গিদের আগ্রাসী তত্পরতা নিয়ে কি করা যায় সে ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে।
একদিকে প্রেসিডেন্ট ওবামা রাজনৈতিক সংহতির প্রয়োজন নিয়ে গুরুত্ব আরোপ করছেন এবং সেই একই সঙ্গে ইরাকের আরক্ষা বাহিনীকে মদত দিতে কি কি করা যায় সম্ভাব্য সেসব বিষয় বিবেচনায়ও নিচ্ছেন তিনি আর এরই মাঝে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কংগ্রেস বিধায়দের সঙ্গে তাঁর ঐ আলোচনা বৈঠক।
প্রেস সচিব জে কার্ণী বলেছেন-মঙ্গলবারে,ইরাক সমস্যার সামরিক কোনো সমাধান নেই,তবে-উগ্রবাদি গোষ্ঠীগুলোর এই তত্পরতা রুখতে ইরাকের আরো অনেক বেশি রকমের মদতের প্রয়োজন।
পররাষ্ট্র দফতরের মূখপাত্র জেন পসাকি বলেছেন- ইরাকের দীর্ঘমেয়াদী সফলতার সহায়তায় রাজনৈতিক একটা উপাদান গুরুত্বপূর্ণ।বলেন-সাফল্যজনক ফলাফল এখানে কোনো দেশের তরফের হস্তক্ষেপের ওপর নির্ভরশীল নয়।
কার্ণী, জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট স্বার্থের উল্লেখে বলেন- Islamic state of Iraq and the Levant বা পূর্ব ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চল অন্তর্গত অধিবাসিদের গোষ্ঠী ভুক্ত জঙ্গিরা যে ঐ অঞ্চলে নিরাপদ অভয়াশ্রয় গড়তে সক্ষম নয়,এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
ইতিমধ্যে,ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মালিকী মঙ্গলবার শিয়া-সূন্নী ও কুর্দি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেন এবং টেলিভিশনের পর্দায় আলোচনারত গ্রুপটিকে জাতীয় সংহতি রক্ষার প্রত্যয় ব্যক্ত করতে দেখা যায়।
এদিকে,ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোশিয়ার যেবারী ভয়েস অফ এ্যামেরিকার কুর্দী সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলার সময় উল্লেখ করেন-সাম্প্রতিক এই দূর্বৃত্যায়ন ইরাক সরকারের জন্যে সবচেয়ে বড়ো হূমকি । বলেন- ইরাকে এই সন্ত্রাস ইরাক ও তার প্রতিবেশিদের জন্যেই শুধু নয়- যুক্তরাষ্ট্রের জন্যেও হূমকি একটা।
বলেন-যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে এবং ইরাকের নেতাদের জন্যেও সবচেয়ে ভালো হবে প্রতিবেশি ইরানের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়ার বদলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে মদত নেওয়া ।