দক্ষিণ এশিয়ায় আইসিস সক্রিয়

ইসলামিক স্টেট দক্ষিণ এশিয়ায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া। ইতোমধ্যেই ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও মিয়ানমারে তাদের অবস্থান জানান দিয়েছে। গত ২১শে আগস্ট আটলান্টিক কাউন্সিলের প্যানেল আলোচনায় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এই অভিমতই ব্যক্ত করেছেন। তারা বলছেন, এই অঞ্চলে সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে আইসিস তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বক্তারা এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।

আটলান্টিক কাউন্সিলের আর্ন্তজাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক ফেলো জেসমিন আল গামাল মনে করেন, "সাইবার নিরাপত্তা, অর্থের অবৈধ প্রবাহ ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ফ্যাক্টর এর জন্য দায়ী"।

জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সি ক্রিশ্চিয়ান ফেয়ার স্পষ্ট করেই বলেছেন, "বাংলাদেশে আগে একটা ধারণা ছিল দরিদ্র পরিবারের ছেলেরা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সে ধারণা পাল্টে গেছে। এখন দেখা যাচ্ছে স্বচ্ছল পরিবারের লোকজনও জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়ছে"।

ক্রিশ্চিয়ান বলেন, "এটা ঠিক বাংলাদেশে দীর্ঘদিন থেকে জঙ্গি তৎপরতা রয়েছে। কিন্তু এটা আন্তর্জাতিক মহলে খুব একটা গুরুত্ব পায় না, কারণ গ্লোবাল টেরোরিজম ডাটাবেজ অনুযায়ী হামলাপ্রতি গড়ে প্রাণহানির সংখ্যা খুবই কম।

দক্ষিণ এশিয়ায় উগ্রপন্থার উত্থান কিভাবে রোধ করা যায় তা নিয়ে প্যানেলে আলোচনা হয়। আলোচকরা এসব ইস্যু সমাধান করার উপর গুরুত্ব দেন এবং এক্ষেত্রে বিদ্যমান পদক্ষেপের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন।

আইসিস কিভাবে সংঘবদ্ধ গ্রুপ হিসেবে কর্মকান্ড পরিচালনা করে, দক্ষিণ এশিয়ায় কিভাবে তার প্রভাব পড়ে- তা নিয়ে প্যানেল আলোচনায় বক্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সুনির্দিষ্ট ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্ব দেন।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী।