চীনের সামগ্রিক সমৃদ্ধি খানিকটা যেনো শংকায় ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে

অগ্রসরমান চীনের সামগ্রিক সমৃদ্ধি খানিকটা যেনো শংকায় ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে। তাইতো ওয়াশিংটন ও নয়া দিল্লির সিদ্ধান্তগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দের মধ্যেকার সম্পর্কটা আরেকটু বাড়িয়ে বানিজ্যসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন খাতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করার উপায় খুজতে বৈঠকে বসলেন তাঁরা।

Your browser doesn’t support HTML5

চীনের সামগ্রিক সমৃদ্ধি খানিকটা যেনো শংকায় ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে

সেই কথাটিরই যেনো প্রতিধ্ধনি শোনা গেলো বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুষমা স্বরাজের বক্তব্যে: “আমাদের অভূতপূর্ব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো মজবুত করতে চাই”।

টেলিগাফের দিল্লি বুরো চীফ জয়ন্ত রায় চৌধুরী কথা বলেন ঐ বৈঠক নিয়ে।

বাধা বিপত্তি স্বত্তেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বানিজ্য সম্পর্ক বাড়িয়ে বার্ষিক বানিজ্য ৫০ হাজার কোটি ডলার করার লক্ষ্যে নির্ধারণ করেছে ভারত।

“আশা করি সেই লক্ষ্য পূরণ করতে বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা খোলামেলাভাবে কথা বলবেন, সাহসী সিদ্ধান্ত নেবেন” বললেন যুক্তরাষ্ট্রের বানিজ্যমন্ত্রী পেনি প্রিটজকার।

তিনি বলেন, “ভারতীয় ও আমেরিকান ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আমরা এমন সুবিধা করে দেবো যাতে তারা একে অন্যের কাছ থেকে কেনাবেচা বা বিনিয়োগ করতে পারেন”। আর তা এমনভাবে হবে যেনো সকলের কাজে লাগে; সেজন্যেই বৈঠকে প্রাইভেট সেক্টরের প্রতিনিধি থাকার দরকার নেই। সরকারী কর্মকর্তাদেরকে ভালো নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দেয়া হবে।

তবে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন সিইও ফোরামের দুই পক্ষের দুই শীর্ষ নেতা; ভারতের টাটা সনসের চেয়ারম্যান সাইরাস মিষ্ট্রি এবং হানিওয়েল চেয়ারম্যান ডেভ কোট রয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাস প্রতিরোধ এবং কৌশলগত অঙশীদারিত্ব বৃদ্ধিসহ মঙ্গলবার জন কেরী নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে কথা বলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে।

ভারত ও যুক্তহরাষ্ট্রের সেনা কতৃপক্ষের মধ্যে পেন্টাগনে একে অন্যের সেনা ঘাঁটিতে সরবরাহ বিষয়ক সহায়তার লক্ষ্যে আসা যাওয়ার অনুমতি সম্বলিত একটি চুক্তি হওয়ার একদিন পর নয়া দিল্লিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। তবে Logistics Exchange Memorandum of Agreement ((LEMOA) নামের এই চুক্তিতে এক দেশ অন্য দেশে সেনা ঘাটিঁ করতে পারবে না। তার প্রয়োজন হলে নতুন চুক্তি করতে হবে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র্র ও ভারতীয় সেনাবাহিনী মাঝের মধ্যে যৌথ প্রশিক্ষন মহড়া চালিয়ে থাকে। কয়েক বছর আগে এ বিষয়টিও দু দেশের জন্যে ছিল অকল্পনীয় বিষয়। কারন যুক্তরাষ্ট্রকে ভাবা হতো তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের সমর্থক, পৃষ্ঠপোষক।

আগামী মাসে উত্তর ভারতীয় পর্বতমালায় যে যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে, তার মধ্যে থাকবে দুই দেশের সেনাবাহিনীর একএতীকরণ, যাতে তারা এক প্লাটুনে থেকে একতে কাজ করার জনে দক্ষতা অর্জন করে; বললেন ইউএস আর্মির আই কর্পসের কমান্ডার লে: জে: ষ্টিফেন লাঞ্জা।