মহারাজাদের গাড়ি

আজকালকার ধনকুবেরদের মত পুরোনো ঔপনিবেশিক ভারতের মহারাজারা তাদের বিত্তের জৌলুশ দেখাতে পছন্দ করতেন, কিনতেন রাজসিক সব গাড়ি। এই অনন্য সাধারণ গাড়িগুলো এখন অনেকের ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় শোভা পাচ্ছে। তারই কয়েকটি প্রদর্শিত হলো, প্যারিসে Retromobile car show-তে। ভয়েস অফ আমেরিকার George Putic এর প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত জানাচ্ছেন শতরূপা বড়ুয়া।

ভারতের বেশিরভাগ মহারাজাদের বিত্তের প্রতীক ছিল তাদের চকচকে রোলসরয়েস গাড়িগুলো। অবশ্য তাদের অনেকেই গতানুগতিক মডেলের রোলসরয়েসে খুশি ছিলেন না। Retromobile vintage car show-এর পরিচালক Francois Mercion বলছেন, গাড়িগুলো তৈরি করা হ্ত ক্রেতাদের বিশেষ মর্জিমাফিক। গাড়ি প্রস্তুতকারকরা দারুণ অভিনব সব জিনিস তৈরি করেছেন। তাদেরকে শুধু কাঠামোটা দিয়ে দেওয়া হতো, তারপর তারা ক্রেতার ইচ্ছে অনুযায়ী বাকি সবকিছু সংযোজন করতেন।

এই ধরনের গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বিলাসবহুল গাড়ির নাম Swan Car বা ‘রাজহংশী’। ভারতে বসবাস করছেন এমন একজন স্কটিশ ব্যক্তি এই গাড়িটির অর্ডার দিয়েছিলেন। পরে তিনি সেই গাড়িটি বিক্রি করেন নাব্বা্র মহারাজার কাছে।
এই গাড়িতে ভীড় নিয়ন্ত্রণের জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। রাজহাঁসের ঠোঁট আর গলা থেকে বাষ্প বেরিয়ে আসার ব্যবস্থা ছিল সেই গাড়িতে। সেসময়, কোলকাতার রাস্তার ভীড় সরানোর জন্যে তা ব্যবহার করা হত।

কোতওয়ারার রাজা সাজিদ হুসেইনের আভিজাত্যের প্রতীক ছিল Isotta Fraschini 8A. যার সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার। রাজকন্যা Kenize Mourad বললেন, তাঁর বাবা একটি বিশেষ কারণে রোলস রয়েস না কিনে, কিনেছিলেন এই ইতালির গাড়ি।
তাঁর বাবা ছিলেন খুবই বৃটিশবিরোধী। ভারতকে বৃটিশরা উপনিবেশে পরিণত করায়, তাঁর বাবা ইচ্ছে করেই রোলস রয়েস না কিনে ইতালির একটি গাড়ি কিনেছিলেন।

Your browser doesn’t support HTML5

মহারাজাদের গাড়ি



বেশ কিছুদিন এই গাড়ির মালিক ছিলেন, Led Zeppelin rock band-এর ম্যানেজার Peter Grant. এখন এই গাড়ি কলোরাডোর এক আধুনিক আমেরিকান রাজার সংগ্রহশালার শোভা বর্ধন করছে। ১ লক্ষ ডলারের ওপর বর্তমানে এই গাড়ির মূল্য।