মালালা ইউসুফযাইয়ের সঙ্গে ভয়েস অফ এ্যামেরিকার একটি সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে প্রণীত রিপোর্ট

আজ থেকে প্রায় বছর ষোলো আগে পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমের পাখতুনখোয়া প্রদেশের নয়নাভিরাম সোয়াত উপত্যকায় , বরফ গলা পাহাড়ি নদী সোয়াতের পাড়ে , মনপ্রাণ কেড়ে নেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বুকে মায়ের কোল আলো করে জন্মেছিলো একটি কন্যা সন্তান – মা বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন মালালা ।পাহাড়ের মাথা থেকে পাথর থেকে পাথরে খিলখিলিয়ে আছড়ে পড়া সোয়াত নদীটির মতোই হেসে খেলে বড়ো হয়ে উঠছিলো মেয়েটি মস্ত একটা স্বপ্ন মনের মাঝে আঁকড়ে ধরে । এমনি সময় এলো সেই অনাকাংখিত, দানবীয় আঘাত । বুলেট বিঁধলো মাথায় তার , তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হলো বিলেতে – বার্মিংহ্যামে অস্ত্রপচারের জন্যে । প্রাণে বেঁচে গেলো মালালা – সময়মতো চিকিত্সা পেয়ে । আরো সাহসি হয়ে উঠলো মেয়েটি – স্বপ্ন এখন আর মনের ভেতর পোষা রইলো না – অগ্নিগর্ভ হয়ে বেরিয়ে এলো মুখে , সোচ্চার হলো মালালা শিক্ষার অধিকার নিয়ে । শিক্ষার আলো সে তো মেয়ে হোক – ছেলে হোক সবাইকেই পেতে হবে – দিতে হবে সে অধিকার আপামর জনসাধারণকে – প্রতিটি মানুষেরই পেতে হবে সে আলোর পরশমনি ।
ছুটলো মালালা তার এ অধিকারের দাবি নিয়ে I have a dream-এর দেশে – যুক্তরাষ্ট্রে । বিশ্ব সভায় সসম্মানে চেয়ার এগিয়ে দিলো তাকে বয়স্ক বিদ্ব্যজ্জনেরা-কূটনীতিক,রাষ্ট্রনায়ক-রাজনীতিবিদেরা । মালালা বললো তার স্বপ্নের কথা তাদের কাছেও । কিংবদন্তি অধিকার সংগ্রামি মার্টীন লুথার কিংয়ের মতোই সগর্বে বলে উঠলো – আমার একটা মিশন আছে ।
নামকরা বিশিষ্ট সাংবাদিকেরা মালালার সঙ্গে কথা বললো – কথা বললো ভয়েস অফ এ্যামেরিকার বিভিন্ন বিভাগ – সাক্ষাত্কার প্রচারিত হলো বিভিন্ন ভাষায়, ভাষান্তরিত সংষ্করণে । হোয়াইট হাউসে দেখা হলো তার প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে – কথা হলো ফার্স্টলেডী মিশেল ওবামার সঙ্গে , ওবামা তনয়া—র সঙ্গে । মালালা অনুরোধ করলো প্রেসিডেন্টকে – শিক্ষার প্রসারে আরো বই দিন আরো কলম দিন আপনি আমাদের ।
স্বপ্ন দেখার যেন শেষ নেই মালালা ইউসূফ যাইয়ের । একদিন আবার সে ফিরতে চায় শৈশবের , কৈশোরের আজন্ম চেনা সেই চেনার পাতার গন্ধে আমোদিত , সোয়াত নদীর কুলু ধ্বণী মঞ্জরিত সোয়াত উপত্যকায় ।
মালালার স্বপ্নের পথে – তার কাংখিত আলোর সন্ধানে আমাদের অনেক অনেক শূভকামনা রইলো ।malala interview

Your browser doesn’t support HTML5

malala interview