রাজার হাট নিউ টাউনে কৃষকরা অধিগৃহীত জমির ক্ষতিপূরণ দাবি করছে

A little village girl fills drinking water in a pot at Uttar Radhanagar Railway Station of South24 Pargana district, West Bengal, India, Feb. 28, 2013. (Photo by Chandan Ghosh/India/VOA reader)

পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলারসিঙ্গুরের কৃষি জমিরক্ষার আন্দোলনের ছায়া এই মুর্হূতে কলকাতা উপনগরীর রাজার হাট নিউ টাউনে।অতীতের বামসরকারের আমলে রাজারহাট-নিউটাউনে অধিগৃহীত জমির উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং পড়ে থাকা জমি ফেরতের দাবি বর্তমান কৃষকদের। হিডকোর দফতরে দরবার কয়েকশো কৃষকের।সিঙ্গুরকে জমি ফেরত পেতে দেখে বর্ধমান, শিলিগুড়ি, পুরুলিয়ার রুঘুনাথপুরের পর এবার একই দাবি উঠল কলকাতার উপকন্ঠে রাজারহাট-নিউটাউনে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং পড়ে থাকা জমি ফেরতের দাবিতে হিডকোর দফতরে দরবার কয়েকশো কৃষকের।১৯৯৭ সালে রাজারহাট-নিউটাউন নগরীর জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু করে তত্কালীন বাম সরকার। অভিযোগ, ক্ষতিপূরণের টাকা কম দিয়ে গায়ের জোরে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এমনকি ২১টি মৌজায় জমি অধিগ্রহণের নোটিস দেওয়া হলেও, এখনও শুনানি হয়নি বা ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, সেই পড়ে থাকা জমি আটকে রেখেছে হিডকো।ক্ষমতায় আসার আগে ২০১০-র ১৩ নভেম্বর এক জনসভায়, রাজারহাট-নিউটাউনে পড়ে থাকা জমির ১০ শতাংশ উন্নয়ন করে কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন তত্কালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই প্রসঙ্গ তুলে কৃষকদের দাবি, যে জমি পড়ে রয়েছে তা তাদের ফেরত দিয়ে দেওয়া হোক এবং যে জমিতে নির্মাণ কাজ হয়েছে, তার জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।কিন্তু, সিঙ্গুরকে মডেল করে যদি একের পর এক জায়গায়, এভাবে সরকারের অধিগৃহীত জমি ফেরতের দাবি ওঠে এবং তা যদি ফিরিয়ে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে রাজ্যে শিল্পে হবে কোথায়? প্রশ্ন বণিক মহলের একাংশেরই।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষ রায়।

Your browser doesn’t support HTML5

পরমাসিষ ঘোষ রায়ের রিপোর্ট (নিউটাউন)