করোনার প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান আরও বাড়ানো উচিত কিনা তাই নিয়ে ভারত সরকারের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল এখন আলোচনা করছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকা, যা ভারতে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া কোভিশিল্ড নাম দিয়ে তৈরি করছে, সেটির দুটি ডোজ। শুরুতে বলা হয়েছিল, প্রথম ডোজ আর দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ব্যবধান হবে এক মাস থেকে দেড় মাস। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী তা বাড়িয়ে করা হয় দেড় মাস থেকে দু'মাস। কিন্তু পর্যায়ক্রমে ভারতীয়দের তিন ভাগে ভাগ করে টিকা দেওয়ার যে প্রক্রিয়া চলছে, তাতে এখন পর্যন্ত ভারতের বিপুল জনসাধারণের মাত্র ৩% মানুষকে টিকা দেওয়া গিয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই না। তার প্রথম ও প্রধান কারণ ভারতে প্রয়োজনীয় টিকার অভাব। সিরাম ইনস্টিটিউট বলেছে, তাদের আগে থেকে জানানো হয়নি যে এত টিকা লাগবে। দেশে-বিদেশে এটাকে প্রধানমন্ত্রী মোদির দূরদর্শিতার অভাব ও ব্যর্থতা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
Your browser doesn’t support HTML5
ভারতের বিপুল জনসাধারণের মাত্র ৩% মানুষকে টিকা দেওয়া গিয়েছে
ইতিমধ্যে সবাইকে টিকা দেওয়ার জন্য চাপ বাড়ছে। সমালোচনা এড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার গত পয়লা মে থেকে ১৮ বছরের উপরে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে দেওয়ার পর পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হয়ে ওঠে। চতুর্দিকে টিকার জন্য হাহাকার লেগে যায়। অবস্থা এমন যে, প্রথম ডোজ দেওয়া দূরে থাক দ্বিতীয় ডোজ পর্যন্ত দেওয়া যাচ্ছে না। অথচ নির্ধারিত সময় হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা গিয়েছে, দুটি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান আরও বাড়ানো উচিত। তিন মাস থেকে চার মাস হলে ফল আরও ভালো হয়। এখন ভারতে বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়টি নিয়েই চিন্তাভাবনা করছেন। যদি এটা হয়, তা হলে দুটো দিক থেকে সুবিধা হবে। বয়স্করা, যাঁদের এখন দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা, তাঁরা আরও কিছুটা সময় পাবেন এবং এই সময় পাওয়ার ফলে প্রতিষেধকের অভাব কিছুটা মিটবে। প্রতিষেধক উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানো গেলে প্রথম ডোজ দেওয়ার সংখ্যাও বাড়ানো যাবে। তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা কিছুটা কমবে। আসছে সপ্তাহেই এই নিয়ে বিশেষজ্ঞ দল তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।