পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তিনি তালিবানের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন।এই সংলাপের উদ্দেশ্য, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাবুলে একটি সমন্বিত সরকার গঠনে তালিবানকে উৎসাহিত করা।
টুইটার মারফত প্রধানমন্ত্রী খান শনিবার তাঁর উদ্যোগের কথা জানানI তিনি বলেন, এই সপ্তাহে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেনI শুক্রবার, ইমরান খান তাজিকিস্তানে তাঁর দু-দিনের সফরের ইতি টানেন। এই সফরে, তিনি সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানিজেশন সামিট-এর পাশপাশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও অংশ নেন। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন, চীন ও রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্লক।
After mtgs in Dushanbe with leaders of Afghanistan%27s neighbours & especially a lengthy discussion with Tajikistan%27s President Emomali Rahmon, I have initiated a dialogue with the Taliban for an inclusive Afghan govt to include Tajiks, Hazaras & Uzbeks.
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) September 18, 2021
টুইটার বার্তায় ইমরান খান জানান, "দুশানবেতে আফগানিস্তান ও প্রতিবেশী দেশের নের্তৃবৃন্দ, বিশেষ করে তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, এমোমালি রাহমনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর আমি আফগানিস্তানে একটি সমন্বিত সরকার গঠনের লক্ষ্যে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি, যে সরকারে তাজিক, হাজারা এবং উজবেক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব থাকবেI"
বিস্তারিত ব্যাখ্যা না দিলেও, আফগানিস্তানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে "অন্তর্ভূক্তি"'র উপর তিনি জোর দেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে চার বছরের সংঘাতের পর শুধুমাত্র দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির নয়, সমগ্র অঞ্চলের স্বার্থ রক্ষা হবে।
পাকিস্তান- আফগানিস্তান সীমান্ত প্রায় ২,৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। গত মাসে, আফগানিস্তানে দু দশকের যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করে নিলে তালিবান ক্ষমতা কুক্ষিগত করে I
গত মাসে তালিবান ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা দিয়েছে। এই সরকারের সকল সদস্যই পুরুষ এবং সেখানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তালিবানের প্রথম সারির বেশির ভাগ নেতারা। এরা প্রধানত পশতু জাতিগোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করে।
নারী এবং অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব না থাকায় এই সরকার দেশে বিদেশে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। এই সরকার তালিবান শুরুতে যে অন্তর্ভুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার বিপরীত।
শুক্রবার সম্মেলনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানিজেশন সদস্যভুক্ত দেশ, চীন, ভারত, কাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানের নেতারা তালিবানের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেনI তাঁরা বিশ্ব সম্প্রদায়কে কাবুলের সঙ্গে সম্পর্ক পরিত্যাগ না করে সম্পৃক্ত হতে আহ্বান জানান, যাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির আসন্ন মানবিক সঙ্কট ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় প্রতিহত করা যায়I