পাকিস্তানের একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক যিনি সামরিক বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করার জন্য সবার কাছে পরিচিত ছিলেন তাঁকে মঙ্গলবার দিনের আলোকেই রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে অপহরণ করা হয় এবং ১২ ঘন্টা আটকে রাখা হয় । সিসিটিভিতে দেখা গেছে সাদা পোশাকে একদল লোক আবার অন্য কিছু লোক পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী ইউনিটের কালো পোশাক পরা, এই সাংবাদিক মতিউল্লাহ জানকে জোর করে গাড়িতে তুলছিলো এবং তখন তিনি বাধা দেয়ার চেষ্টা করছিলেন।
মি জানকে জোর করে এই অপহরণের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া হয়েছে। পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো প্রতিবাদ স্বরূপ সংসদের একটি অধিবেশন পরিত্যাগ করেন এবং তাঁদের সঙ্গে সাংবাদিকরাও বেরিয়ে যান। সংসদে বিরোধী দলের নেতা শেহবাজ শরীফ এক টুইট বার্তায় জানের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার সমালোচনা করে বলেন, সংবাদ মাধ্যম এবং সমালোচকদের কন্ঠরোধের সরকারের এই প্রচেষ্টা অত্যন্ত লজ্জাকর। মাতিউল্লাহর কিছু হলে প্রধানমন্ত্রী এর জন্য দায়ী থাকবেন। নিহত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভূট্টোর ছেলে ও অন্যতম একটি বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলা্ওয়াল ভুট্টো জারদরি টুইট বার্তায় বলেন এই মনোনীত সরকারকে অবিলম্বে তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের নিশ্চয়তা দিতে হবে । এটাতো কেবল সংবাদ মাধ্যম এবং গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ নয়, আমাদের সকলের উপর আক্রমণ। এই অপহরণের বিরুদ্ধে সাংবাদিক এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো এক বিবৃতিতে বলেছেন যে মতিউল্লাহ জানকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুক্তি না দিলে দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠবে।