জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে পাকিস্তানী তালিবানের সম্পৃক্ততা রয়েছে : মাশকাওয়াথ আহসান

  • আনিস আহমেদ
বাংলাদেশে মানবতা বিরোধী অপরাধ করার দায়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হবার পর , পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে যেমন তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে , তেমনি তেহরিকে তালিবান পাকিস্তান , বা টিটিপি , ইসলামাবাদে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে বলে খবরে জানা গেছে। সমগ্র বিষয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে করাচিতে সংবাদ বিশ্লেষক ও ভাষ্যকার মাশকাওয়াথ আহসান ভয়েস অফ আমেরিকাকে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে জানান যে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি তিনটি জায়গায় যে শোক সভা অনুষ্ঠিত হয় তার মধ্যে লাহোরের শোক সভায় সরাসরি তেহরিকে তালিবান পাকিস্তানের , (টিটিপি) সদস্যরা ও অংশ গ্রহণ করেন । সেখান থেকেই পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাদের অনুসরণ করে পরে জানতে পারে যে তারা ইসলামাবাদে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা চালাতে চায়। এই ঘটনাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে জানানোর পর তারা , বাংলাদেশ দূতাবাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরালো করেছে।

পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে তাহরিকে তালিবান পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে মাশকাওাথ বলেন যে শীর্ষ পর্যায়ে তাহরিকে তালিবানের যে সব কমান্ডারদের ধরা হয়েছে, তারা ধরা পড়েছেন পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলাম পাকিস্তানের সদস্য বা নেতাদের বাসা থেকেই। তিনি বলেন অতএব এখান থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে জামায়াতে ইসলামি তাদের সশস্ত্র শাখা হিসেবেই এই পাকিস্তানের তালিবান সংগঠনকে তৈরি করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি , পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামি , বা ভারতের জামায়াতে ইসলামি সবার হেড কোয়ার্টার ঐ লাহোরেই এবং সেখানেই ঐ শোক সভাটি হয়। আর সে জন্যেই তারা জঙ্গি বা সশস্ত্র গোষ্ঠিকে তারা তাদের সঙ্গে রাখে।

মাশকাওয়াথ আহসান এই সাক্ষাৎকারে আরও বলেন যে মূলত জামায়াতে ইসলামের চাপের মুখেই নেওয়াজ শরীফ সরকার এবং ইমরান খানের তহরিকে ইনসাফ পার্টি , বাংলাদেশে কাদের মোল্লার ফাঁসির তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তিনি আরও বলেন যে এ সব ঘটনার কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার কুটনৈতিক সম্পর্কে এর প্রতিকুল প্রভাব পড়বে।

Your browser doesn’t support HTML5

সাক্ষাতকারটি শুনুন