করোনার দ্রুত ও ব্যাপক বিস্তার এবং বুধবার থেকে কঠিন-কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় মানুষ ভীত, আতংকিত এবং গভীর শংকার মধ্যে পড়েছেন। লকডাউনের কারণে নিম্নবিত্ত ও স্বল্প আয়ের লাখ লাখ মানুষ কোন স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যে যেভাবে পারছেন, ছুটছেন গ্রামে।
এত বিশালসংখ্যক মানুষের চাপে পরিবহণ সংকটের কারণে মানুষ ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, মোটরসাইকেলে করেও ঢাকা ছাড়ছেন। মহাসড়কগুলোতে রয়েছে মাইলের পর মাইল যানজট। ফেরিগুলোতেও রয়েছে প্রচন্ড ভীড়। মানুষকে ভাড়াও গুণতে হচ্ছে অনেকগুণ বেশি। ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকবে বলে প্রচন্ড ভীড় ছিল ব্যাংকগুলোতে। বাজার, শপিংমলগুলোতেও একই পরিস্থিতি।
Your browser doesn’t support HTML5
বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান বেনজীর আহমেদ বলেছেন, লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় কোন মানুষ বের হতে পারবে না। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হতে গেলে মুভমেন্ট পাস নিতে হবে।
এদিকে, বিরোধীদল বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, লকডাউনের নামে অকার্যকর শাটডাউন চলছে। করোনা মোকাবেলার নামে সরকার প্রতারণা করছে।
গ্রামমুখী মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনার ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে বলে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞগণ বলছেন। করোনা রোগীদের চাপে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ’র ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাবেক মন্ত্রী এবং সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।