পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে প্রতিষেধক নিতে চাইছেন না ভারতের মানুষ

ভারত এখন একসঙ্গে অনেকগুলো সমস্যার সম্মুখীন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সারাদেশকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। মৃত্যুর মিছিল চলছে রাজ্যে রাজ্যে। তার মধ্যে করোনার প্রতিষেধক পাওয়া যাচ্ছে না। যতটা উৎপাদন হওয়ার কথা ছিল তা হচ্ছে না‌। যতটা হচ্ছে, সরকারের কাছে তার পুরোটা পৌঁছচ্ছে না। এইসব নিয়ে স্বভাবতই রাজ্যগুলোর ক্ষোভ রয়েছে কেন্দ্রের প্রতি। এর জন্য কেন্দ্রকে জবাবদিহি করতে বলছে আদালতও। কিন্তু এরই মধ্যে দেখা গেছে কিছু কিছু জায়গায় প্রতিষেধক নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা বসে রয়েছেন কিন্তু কেউ তা নিতে চাইছেন না। যেমন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মুরারই গ্রামে গতকাল সারাদিন ধরে স্বাস্থ্যকর্মীরা একটি টিকাদান কেন্দ্রে প্রতিষেধক নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন, কিন্তু সারাদিনে একজন মাত্র প্রতিষেধক নিতে এসেছিলেন। ওই গ্রামে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৪ হাজার জনের বেশি। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন মাত্র পাঁচ হাজার ৫৩০ জন। বাকিদের এই অনীহা কেন?

Your browser doesn’t support HTML5

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে প্রতিষেধক নিতে চাইছেন না ভারতের মানুষ

আজ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে উত্তর খোঁজার জন্য ওই গ্রামের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রতিষেধক নেওয়ার পর খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে, এই ভয়ে তাঁরা প্রতিষেধক নিতে চাইছেন না। এদিকে এই গরমের মধ্যে মাস্ক পরতে বহু লোকের অনীহা চোখে পড়ছে। টিকা থাকা সত্বেও না নেওয়া এবং করোনা থেকে বাঁচতে যেখানে মাস্ক পরা উচিত, তা না পরা, এই ধরনের মনোভাব করোনার বিপদ যে বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এই বিশাল জনবহুল দেশকে সেই জন্যই করোনা মুক্ত করার উপায় সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে।