কীটনাশক, ফল ও সবজির নিন্ম অংশকে ক্ষতিগ্রস্থ করে

ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে ব্যবহৃত কীটনাশক, ফল ও সবজির নিন্ম অংশকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। সেই সাথে ঢুকে পড়ে ফসলের মধ্যে এবং ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশেও। North Carolina State University এর বিজ্ঞানীরা বলছেন, ক্ষতিকর ঐসব কীটনাশকের পরিবর্তে নতুন এক ধরনের পরিবেশ-বান্ধব “nanoparticles বা অতি ক্ষুদ্রকনা” ব্যবহার করা যেতে পারে। ভয়েস অফ আমেরিকার সাংবাদিক George Putic এর প্রতিবেদন শোনাচ্ছেন তাওহীদুল ইসলাম:

Your browser doesn’t support HTML5

কীটনাশক, ফল ও সবজির নিন্ম অংশকে ক্ষতিগ্রস্থ করে

ফসল ধ্বংসকারী ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে বড় বড় খামার গুলো নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে। যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর।

আধুনিক কীটনাশকের বেশির ভাগ শক্তিশালী উপাদান, এমনকি কিছু এন্টিবায়োটিক হচ্ছে রূপা নির্ভর অতি ক্ষুদ্রকনা; যা মাইক্রোবের সাথে সংযুক্ত এবং কীটপতঙ্গ ধ্বংস করে। কিন্তু অতি ক্ষুদ্রকনা গুলোর অধ:পতন মূল ধাতব থেকে রূপাকে অবমুক্ত করে; যা ক্ষতিকর হতে পারে। North Carolina State University এর অধ্যাপক Orlin Velev বলেন, “পরিবেশ ও মানুষের খাবারের ক্ষেত্রে এর প্রভাব খুব একটা ভাল নয়। সুতরাং সমস্যাটা হচ্ছে— আপনি সম্ভাব্য কি উপায়ে অতিক্ষুদ্র উপকরণ থেকে ক্ষতিকর দিকটিকে সরাতে পারেন"?

Orlin Velev এবং পিএইচডির শিক্ষার্থী Alexander Richter আবিষ্কার করেছেন যে, রূপা নির্ভর অতি ক্ষুদ্রকনার পরিবর্তে lignin নামের এক ধরনের জৈব পলিমার ব্যবহার করা যেতে পারে, যা বেশির ভাগ গাছপালায় খুঁজে পাওয়া যায়।

EbNPs হিসাবে বিবেচিত এ ধরনের অতি ক্ষুদ্রকনা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রুপালী আয়ন বহনে সক্ষম। যা ব্যাকটেরিয়া মারে। কিন্তু এ কনাগুলোর মূল জীবানু ধ্বংস করে এবং তা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। পিএইচডির শিক্ষার্থী Alexander Richter বলেন, “এই ভাবে--অতি ক্ষুদ্রকনা পদ্ধতির মধ্যে মূল রুপার পরিমান কমিয়ে, তাদের বিনষ্ট করার মাধ্যমে আমরা অতি ক্ষুদ্রকনার কার্যকারীতা বহাল রাখতে পারি"।

উদ্ভাবকরা বলছেন, তাদের জীবানু বিনষ্টকারী অতিক্ষুদ্র কনা- সংক্রামক প্রতিরোধক এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের জন্য তৈরী করা বিভিন্ন পন্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।