দেশের মধ্যে দিল্লি ও পাঞ্জাব ভারতের ধনীতম রাজ্য। এই দুই রাজ্যের ষাট শতাংশেরও বেশি বাসিন্দা আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছলতার শীর্ষে বসবাস করছেন। সব থেকে খারাপ অবস্থা বিহারের, অর্ধেকের বেশি মানুষ বাস করেন আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের নীচে। এমনটাই জানাচ্ছে ন্যাশনাল ফ্যামিলি অ্যান্ড হেলথ সার্ভে।
দেশের ছয় লাখের বেশি পরিবারকে নিয়ে দুহাজার পনেরো ষোলো সালে এই সমীক্ষা করে হয়।ন্যাশনাল ফ্যামিলি অ্যান্ড হেলথ সার্ভে বা এনএফএইচএস চার এর একটি সম্পদ সূচক রয়েছে। কোন বাড়িতে কটা টিভি সেট, বাইসাইকেল আছে, বাড়িতে পরিষ্কার পানীয় জলের ব্যবস্থা আছে কিনা- এ সবের ওপর হয়েছে সমীক্ষা। দেখা যাচ্ছে, সম্পদের দিক থেকে যাঁরা সবথেকে নীচে রয়েছেন তাঁরা দরিদ্রতম কুড়ি শতাংশ মানুষ আর যাঁরা সবথেকে ওপরে রয়েছেন তাঁরা ধনীতম কুড়ি শতাংশ।সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, দেশে দারিদ্র মূলত সীমাবদ্ধ গ্রামেই, গ্রামীণ ভারতের ঊনত্রিশ শতাংশ বাস করছে সম্পদের দিক থেকে তলানিতে। অথচ শহরের ক্ষেত্রে এই শতাংশ মাত্র তিন দশমিক তিন শতাংশ।
দিল্লি আর পঞ্জাব আর্থিকভাবে সবথেকে সমৃদ্ধ, এই দুই রাজ্যের ষাট শতাংশের বেশি মানুষ আর্থিক সূচকে সমৃদ্ধির চূড়ায় রয়েছেন। আবার বিহার দরিদ্রতম, বেশিরভাগ পরিবারের অবস্থান আর্থিক সূচকের একেবারে তলায়।জৈনরা হচ্ছে ধনীতম সম্প্রদায়, তাদের সত্তর শতাংশের বেশি জনসংখ্যা সূচকের ওপরে রয়েছে। হিন্দু, মুসলমানে আর্থিকভাবে খুব একটা তফাত নেই, তাদের মধ্যে জাতীয় সম্পদ বণ্টনের হার খুবই কাছাকাছি বলেই এই সমীক্ষা রির্পোটে জানা গেছে।
Your browser doesn’t support HTML5