কোটা বিরোধী আন্দোলন স্থগিত

Student demonstration in Bangladesh against quota system.

কোটা বাতিলের আন্দোলন স্থগিত হয়েছে। প্রত্যাহার হয়নি। আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, কোটা বাতিলের সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হলেই কেবল আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে। জনপ্রশাসন সচিব ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক খান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নির্দেশনা পাবার পরই এ সম্পর্কে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। টানা চারদিন ছাত্র বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দেন। সরকারি চাকরিতে এই মুহূর্তে ৫৬ শতাংশ কোটা রয়েছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নয়, বিভিন্ন সময় প্রশাসনিক আদেশে কোটা বাড়ানো হয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ৫টি শর্তে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আন্দোলন স্থগিত হলেও কোন শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় কমিটির কাউকে হয়রানি করা যাবে না। ৫টি শর্তের মধ্যে রয়েছেÑ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দ্রুত গেজেট প্রকাশ, গ্রেপ্তার হওয়া আন্দোলনকারীদের নিঃশর্ত মুক্তি, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের আসামী করে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার।
দাবি মেনে নেয়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব এডুকেশন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। এরপর ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল বের করা হয়।

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।

Your browser doesn’t support HTML5

মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট প্রতিবাদ