প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ সত্ত্বেও কোটা সংস্কার আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের হামলা থামেনি। রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর বরাতে বলেছিলেন, ছাত্রলীগ যাতে বাড়াবাড়ি না করে সে জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এই নির্দেশের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকায় অন্তত তিনটি স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। সর্বশেষ বুধবার রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের মিছিলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এতে ৫ জন আহত হন। কোটা আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এক অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ক্লাস হচ্ছে না। পরীক্ষাও বিঘিœত হচ্ছে। আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত নেতারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে পারছেন না। এর মধ্যে যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হক নূরকে গত ৩০শে জুন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে থাকতে পারেননি। নিরাপত্তার কারণে এ পর্যন্ত ৫টি হাসপাতাল বদল করেছেন।
সরকারের তরফে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি ৯০ কার্যদিবস সময় চেয়েছে। এতে করে আগামী নির্বাচনের আগে এই বিষয়টির সুরাহা হবে বলে মনে হচ্ছে না।
ঢাকা সংবাদদাতা মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রতিবেদন।
Your browser doesn’t support HTML5
ঢাকা সংবাদদাতা মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রতিবেদন।