রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ সংকট নিরসনে জাতিসংঘের গৃহীত প্রস্তাব কার্যকর কোন সমাধান না

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অতি-সম্প্রতি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত নেয়াসহ রোহিঙ্গা সংকট সমাধান প্রশ্নে ওই দেশটির করণীয় সম্পর্কে যে প্রস্তাব গ্রহণ করছে ঢাকায় বিশ্লেষক এবং বিশেষজ্ঞগণ তাকে গতানুগতিক বলে অভিহিত করেছেন। পুনরায় আরেকটি প্রস্তাব গ্রহণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ ওই সংকট নিরসনে তেমন কার্যকর কোন সমাধান হবে না বলেই তারা মনে করছেন। নভেম্বরের শেষার্ধে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গৃহীত প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদানসহ সমস্যাটির মূল কারণ খুঁজে বের করা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে উপযোগী পরিবেশ তৈরি এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য মিয়ানমারকে পদক্ষেপ নিতে ওই প্রস্তাবে তাগিদ দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবের বিপক্ষে চীন, রাশিয়াসহ ৯টি দেশ ভোট দিয়েছে। ৩১টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। পক্ষে ভোট দেয়া ১৩২টি দেশ।
সাধারণ পরিষদে ইতিপূর্বেও এ ধরনের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। এই প্রস্তাব কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে সে সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ-এর প্রধান ড. ইমতিয়াজ আহমদ এবং অভিবাসন ও রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক বিশ্লেষক আসিফ মুনীর।

ড. ইমতিয়াজ আহমদ মনে করেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ কার্যকর ভূমিকা নিতে পারবে- এমনটা মনে হয় না।

আসিফ মুনীর বলেন, ওই প্রস্তাব নিয়ে বেশি আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই।
এদিকে, চীন বরাবরই আশ্বাস দিয়ে আসছে যে, তারা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কার্যকর সহায়তা দেবে। তবে চীন সবসময়ই রোহিঙ্গা সংকট প্রশ্নে মিয়ানমারের পক্ষই গ্রহণ করেছে। চীনের ভূমিকা সম্পর্কে ড. ইমতিয়াজ আহমদ এবং আসিফ মুনীর বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেছেন।
বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, বাংলাদেশকে বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশকে সাথে নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে, জাতিসংঘের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না।

Your browser doesn’t support HTML5

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ সংকট নিরসনে জাতিসংঘের গৃহীত প্রস্তাব কার্যকর কোন সমাধান না