প্রস্তাবিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থগিত রাখার জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। নভেম্বরের মাঝামাঝি এ প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, এ প্রত্যাবাসন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এমন ভয়ানক পরিবেশে ঠেলে দিতে পারে, যেখানে তাদের জীবন এবং স্বাধীনতা হুমকির সম্মুখীন হবে। সংস্থাটির শরণার্থী বিষয়ক পরিচালক বিল ফ্রিলিক বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আবারো একই নৃশংসতা এবং নির্যাতনের মধ্যে ফিরে যাচ্ছে না, সে আশঙ্কা দূর করার জন্য তারা কিছুই করছে না। যদি বাংলাদেশ জাতিসংঘকে ছাড়া এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যায় তাহলে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে দেশটি যে আন্তর্জাতিক সুনাম অর্জন করেছে তা নষ্ট হয়ে যাবে।
গত ৩০ এবং ৩১শে অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-মিয়ানমারের তৃতীয় বৈঠকে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। শুরুতে ৪৮৫টি পরিবারের ২২৬০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় প্রতি সপ্তাহে ১৫০ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
ওদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন যেন স্বেচ্ছায় হয়, তা নিশ্চিত করতে দেশটি নিবিড় নজরদারি করছে। ওয়াশিংটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সহকারি মুখপাত্র রবার্ট প্যালাডিনো এ কথা বলেন।
Your browser doesn’t support HTML5
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী'র রিপোর্ট।