রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে এবং মিয়ানমারের জনগণের ওপর যা ঘটছে, তা বিশ্বের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ

আগামী ২২ ও ২৩ এপ্রিল জলবায়ু বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ৪০টি দেশের বিশেষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেয়ার জন্য শুক্রবার অল্প কয়েক ঘন্টার জন্য ঢাকা সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জলবায়ু সংক্রান্ত বিশেষদূত জন কেরি। দুপুরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে জন কেরি সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে এবং বর্তমানে মিয়ানমারের জনগণের ওপর যা ঘটছে, তা বিশ্বের জন্য অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। জন কেরি বলেন, এ দুটো বিষয়ের সমাধান কিভাবে সম্ভব, সেদিকে যুক্তরাষ্ট্র দৃষ্টি রাখছে। তিনি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে বলেন, এ বিশাল জনগোষ্ঠি স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করবে, তা নয় এবং এটি তাদের ভবিষ্যৎও নয়। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান বাংলাদেশের একার দায়িত্ব নয়, এ লক্ষ্যে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।

Your browser doesn’t support HTML5

রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে এবং মিয়ানমারের জনগণের ওপর যা ঘটছে, তা বিশ্বের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ

জলবায়ু প্রশ্নে তিনি বাংলাদেশের সাথে এক যোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যে দৃঢ় প্রত্যয় রয়েছে সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি-কৌশলের বিস্তারিত তুলে ধরেন। জন কেরি করোনার ভ্যাকসিন যে সব দেশ কিনতে পারছে না, তাদের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টার কথাও জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অধিকার রক্ষায় নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্র ওই সম্মেলনে বিশেষ স্বীকৃতি দিতে চায় বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি নানাভাবে পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্যের ক্ষতি সাধন করছে। তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সহাযোগীতা কামনা করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতি মোকাবেলা তহবিল বৃদ্ধির জন্য আহ্বান জানান। জন কেরি বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন। সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।