নতুন করে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন ২ হাজারেরও বেশি শরণার্থী

rohingya-monsoon rain

সপ্তাহব্যাপী প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নেমে এসেছে দূর্ভোগ। ক্যাম্পের দূর্বল অবকাঠামোগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে অন্তত ৯ বার। বিভিন্ন স্থানে ১৩ টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে ২ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গত এক সপ্তাহে রোহিঙ্গা শিবিরে ১ হাজার মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট বন্যায় ৪ শতাধিক বসতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, ক্যাম্প জীবনে নতুন করে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন ২ হাজারেরও বেশি শরণার্থী। চলতি বর্ষা মৌসুম কিভাবে অতিক্রম করবেন, এ নিয়ে উৎকণ্ঠা রোহিঙ্গাদের মাঝে।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের পাহাড়ী ভূমিতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। প্রকৃতির যেকোন বৈরি আচরণে তারা একেবারেই অসহায়। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন ইন্টারসেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি)’র মুখপাত্র সৈকত বিশ্বাস।

শুধু বর্ষা নয়; যেকোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ক্যাম্পে মহড়া করেছে সরকার। বিগত দু’টি বর্ষার অভিজ্ঞতার উপর ভর করে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এরপরও বর্ষা মৌসুমকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর মুখপাত্র জর্জ ম্যাকলয়েড এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, চলতি বর্ষার মাত্র অর্ধেক সময় অতিবাহিত হলেও ইতোমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিগত বছরকে ছাড়িয়ে গেছে।
এ পরিস্থিতিতে কিভাবে বর্ষা মৌসুম অতিক্রম করবেন; কিভাবেই বা নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাবেন- তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।

শুনুন কক্সবাজার প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিলের বিস্তারিত প্রতিবেদন।

Your browser doesn’t support HTML5

নতুন করে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন ২ হাজারেরও বেশি শরণার্থী