মিয়ানমারে অধিকার নিশ্চিত না হওয়ায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন টানা দ্বিতীয় বারের মতো ব্যর্থ

bd rohingya

টানা দ্বিতীয় বারের মতো ব্যর্থ হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। মিয়ানমারে নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন অধিকার নিশ্চিত না হওয়ায় এমুহুর্তে বাংলাদেশের ক্যাম্প থেকে ফিরতে চাচ্ছেন না রোহিঙ্গারা। তবে গতবারের চেয়ে প্রত্যাবাসনে আগ্রহ বেড়েছে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরজুড়ে। মিয়ানমারে নিজেদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা।
প্রত্যাবাসনের তালিকাভুক্তদের মধ্য থেকে গত ৩দিনে প্রায় ৩'শ রোহিঙ্গার মতামত নিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং বাংলাদেশ। তবে তাদের কেউ মিয়ানমার ফিরতে রাজি রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। তবে প্রত্যাবাসনের প্রতি রোহিঙ্গাদের আগ্রহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম।
এবারের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেছে মিয়ানমার ও চীন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। রাতারাতি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মতো নয় উল্লেখ করে সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসনের কর্মকর্তা Zheng Tianzhuo
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেসময় তালিকাভূক্ত রোহিঙ্গাদের অনেকেই ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। এখন ২২ আগস্টের পুনরায় প্রত্যাবাসন শুরুর তারিখে রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের ভয়ে ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে না গেলেও মিয়ানমারে যেতে রাজি হয়নি কেউ।

মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিল, ভয়েস অফ আমেরিকা, শালবাগান শরণার্থী শিবির, টেকনাফ, কক্সবাজার।

Your browser doesn’t support HTML5

Rohingya Repatriation Fail