বাংলাদেশের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মীরা রূপা ধর্ষণ এবং হত্যা মামলার রায়কে মাইলফলক হিসবে দেখছেন

Dhaka, Bangladesh

বাংলাদেশের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মীরা বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকররূপা ধর্ষণ এবং হত্যা মামলার রায়কে এ ধরনেরে অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসবে দেখছেন।
ঢাকা থেকে বিস্তারিত জানিয়েছেন সংবাদদাতা জহুরুল আলম।

Your browser doesn’t support HTML5

জহুরুল আলমের রিপোর্ট রুপা

টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরে কলেজ ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ এবং হত্যার দায়ে চার জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর এক জনকে সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে।
আদালত মাত্র ৬ মাসের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন করে রায় প্রদান করে। এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে এত ধ্রুত মামালার রায় প্রদানের উদাহরণ বাংলাদেশে এই প্রথম।

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দেওয়া তথ্য মতে দেশে ২০১৭ সালে নারী ধর্ষণ এবং ধর্ষণ উত্তর হত্যার ঘটনা ২০১৬ সালের তুলনায় আশংকাজনক হারে বেড়েছে। দেশের অন্যতম মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ২০১৭ সালের বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই বছর সারাদেশে ৮১৮ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন যেখানে ২০২৬ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬৫৯ জন। ২০১৭ সালে ধর্ষণ উত্তর হত্যার শিকার হন ৪৯ নারী এবং আত্মহত্যা করেছেন ১১ জন নারী।

নারীদের ওপর বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা প্রেক্ষাপটেরূপা ধর্ষণ এবং হত্যা মামলার রায়কে কিভাবে মূল্যায়ন করা যেতে পারে এমন এক প্রশ্নের জবাবে জাতিয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন এই রায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বিষয়টি নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকার সাথে কথা বলেছেন আইন ও শালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শিপা হাফিজা।