‘উন্মুক্ত কারাগারে‘ রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করা হয়

Myanmar Rohingya

মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা জাতি বিদ্বেষী আচরণের শিকার বলে এক প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। দুইবছর রাখাইনের চলমান পরিস্থিতি তদন্ত করে এ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
‘কেজড উইথআউট এ রুফ’ শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘উন্মুক্ত কারাগারে’ নির্যাতন করা হয় রোহিঙ্গাদের। সেখানে পর্যায়ক্রমিকভাবে যে মাত্রার বৈষম্য চালানো হয় তা মানবতার বিরুদ্ধে বর্ণবাদী অপরাধ।
অ্যামনেস্টির গবেষণা বিষয়ক সিনিয়র পরিচালক আনা নেইস্টাট বলেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিরাশ করে তোলা এবং যতটা সম্ভব মানবাধিকার কেড়ে নেয়ার জন্য সব কিছু সাজানো হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, ২০১২ সালের সহিংসতায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হন। বিশেষ করে এমন ঘটনা ঘটে রাজ্যের রাজধানী সিতওয়েতে। এখন ওই এলাকায় অবস্থান করছেন প্রায় ৪০০০ মানুষ। তারা যেখাবে বাস করছেন তা চারদিক থেকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বেষ্টিত। এর মাধ্যমে তাদেরকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে জীবনমৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। রিপোর্টে বলা হয়, জীবন সঙ্কটাপন্ন হলেও রাজধানী সিতওয়েতে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সুবিধা দেয়া হয় না। ২০১২ সাল থেকে তাদের শিক্ষার অধিকারকেও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে মিয়ানমার সরকার।
এদিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া ইস্যুতে এ সপ্তাহেই বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি হবে বলে আশা করছেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি।সোমবার এশিয়া ইউরোপের জোট আসেমের পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন। সুচি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ক্ষেত্রে এর আগে সম্পাদিত চুক্তিই অনুসরণ করা হবে।
অ্যামনেস্টিসহ অন্যন্য মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্টে রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে মিয়ানমার নেত্রী বলেছেন, দায়বদ্ধ সরকার হিসেবে আমি বলতে পারি, এসব ঘটেনি।

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।

Your browser doesn’t support HTML5

মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট অ্যমনেস্টি