নানা শর্তাবলীর কারণে রাশিয়ার ভ্যাকসিন আদৌ পাওয়া নিয়ে সংশয়

রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ প্রথম চালানেই ১০ লাখ ডোজসহ যতোটা সম্ভব বেশি ভ্যাকসিন কিনতে আগ্রহী। কিন্তু ওই দেশটির পক্ষ থেকে প্রতিডোজ ভ্যাকসিনের দাম এবং অন্য কয়েকটি শর্তসহ যে খসড়া চুক্তি বাংলাদেশের কাছে পাঠানো হয়েছে, তা মানতে নারাজ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। ভ্যাকসিনের প্রতিডোজের দাম ধরা হয়েছে ১০ ডলার। এছাড়া কোন কারণে ভ্যাকসিন সরবরাহে বিলম্ব ও উৎপাদন কমে গেলে সরবরাহে বিলম্ব হওয়া এবং অর্ধেক অর্থ অগ্রিম দেয়া, ভ্যাকসিনের মান বা কার্যকারিতা কমে গেলে কোন দায় সরবরাহকারী অর্থাৎ রাশিয়াকে দেয়া যাবে না। ভ্যাকসিনের দাম ধারণার চেয়ে বেশিসহ যেসব শর্তাবলী দেয়া হয়েছে, তাতে আপত্তি রয়েছে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এইসব নানা শর্তাবলীর কারণে কবে রাশিয়ার সাথে চুক্তি হচ্ছে তা নিয়ে নিশ্চিত নয় বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ রাশিয়ার সাথে এখনও আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, রাশিয়ার ভ্যাকসিন আদৌ পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

Your browser doesn’t support HTML5

নানা শর্তাবলীর কারণে রাশিয়ার ভ্যাকসিন আদৌ পাওয়া নিয়ে সংশয়

এদিকে, করোনার ভ্যাকসিন এখন অন্য দেশকে সহযোগিতার চেয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে উচ্চ মুনাফার জন্যই ব্যবহৃত হচ্ছে। চীনের সিনোফার্মের প্রতিডোজ ভ্যাকসিন থাইল্যান্ডে ৫ ডলার হলেও, ইন্দোনেশিয়ায় তা ১৭ ডলার। একেবারে প্রথমদিকে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন সেনেগালসহ আফ্রিকার বহুদেশ এবং অন্যান্যরা যারা পেয়েছে তা তারা ৩ দশমিক ৭ ডলার থেকে ৪ ডলারে পেয়েছে। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন কমপক্ষে ৭ ডলার বা তারও অনেক বেশি। ভ্যাকসিনের দুষ্প্রাপ্যতা এখন সব ভ্যাকসিনেরই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।