বাংলাদেশকে মধ্যম মাত্রার অর্থনীতির দেশে পরিণত করা নিয়ে আলোচনা

বাংলাদেশে প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যমাত্রার অর্থনীতির একটি দেশে পরিণত করার যে ভিসন টূয়েন্টি টূয়েন্টিওয়ান লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে , তাতে মদত জোগাতে উদ্যোগি হয়েছে বিভিন্ন মহল, বিভিন্ন ভাবে। এই লক্ষমাত্রাকে সামনে রেখেই জনস হপকিন্স য়ুনিভার্সিটির school of advanced international studies বা sais এবং us-bangladesh advisory council যৌথভাবে আয়োজন করে এক আলোচনা সভার, ওয়াশিংটনে এই গেলো সপ্তাহে । যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যেকার বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারনের বিষয়টিকে মূল আলোচ্য বিষয় রুপে নির্ধারণ করে ঐ আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বক্তা নিজ নিজ দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টির ওপর আলোকপাত করেন, এ সম্পর্ক এখন কোন স্তরে রয়েছে, সম্পর্ক আরো জোরদার করতে কি কি করা যেতে পারে সেসব সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা । এশিয়া সোস্যাইটির সাবেক নির্বাহি পরিচালক জ্যাক গ্যারিটী বর্তমানে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ এবং দু’দেশের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটা রূপরেখা তুলে ধরনে । বলেন –এশিয়ায় চীন ও ভারতের অর্থনীতির পরেই যে দেশটির অর্থনীতি , প্রবৃদ্ধির নিরিখে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে তা হলো বাংলাদেশ । দেশটির ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হার ভারত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার রেমিট্যান্সের পরেই সবচেয়ে বেশি প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের বদৌলতে বলিয়ান । জ্যাক গ্যারিটী বলেন – গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে এবং এই মুহূর্তে এ রফতানী মাত্রায় বাংলাদেশ রয়েছে তুরস্কের পরেই । বলেন বাংলাদেশে বড়ো ধরনের রদবদল – সাফল্য গত বছর বিশের ভেতরেই হয়েছে , তবে এটাও ঠিক যে করার বাকি রয়েছে আরো অনেক কিছুই । অনুষ্ঠানের আরেক বক্তা ইন্টারন্যাশনাল এগযিকিউটিভ কোরে ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস ডিভিশনের সিনিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ হামিদ বলেন – ভৌগলিক অবস্থানে বাংলাদেশের স্থান হলো চীন –দক্ষিন পূর্ব এশিয়া এবং ভারতের মাঝখান বরাবার । এ অবস্থান বাংলাদেশকে বিনিয়োগ ও বানিজ্যের দিক দিয়ে চমত্কার একটা সুবিধেজনক সুযোগ পাইয়ে দিয়েছে । তিনি বলেন – তবে , বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবার জন্যে অবশ্যই বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে । বলেন জ্যাক গ্যারিটি ও আমি বাংলাদেশের প্রধাণমন্ত্রীর সঙ্গে এক গোল টেবিল আলোচনায় অংশ নেই এবং তাতে প্রধাণমন্ত্রী নিতি কৌশল , অবকাঠামোর ইত্যাদির প্রতি গুরুত্ব আরোপের উল্লেখ করেন – এটা গুরুত্বপূর্ণ ঠিকই । বাংলাদেশে এই মুহুর্তে যেসব বিদেশি জ্বালানী কোম্পানী কাজ করছে , বিনিয়োগ রয়েছে যাদের তার মধ্যে সবচেয়ে বড়ো হলো শেভরন । এই মুহূর্তে বাংলাদেশে শেভরনের বিনিয়োগের পরিমান একশো কোটি ডলার – যা কিনা বাংলাদেশে অপর সকল বিদেশি জ্বালানী কোম্পানীর বিনিয়োগের চেয়ে বেশি । শেভরনের প্রতিনিধি লরা হাডসান বললেন সেকথা । বললেন শেভরন বাংলাদেশে অত্যন্ত সুষ্ঠূভাবে , সবার সঙ্গে সূসম্পর্ক বজায় রেখেই কাজ করতে সক্ষম হচ্ছে – লেনদেনের ব্যাপারে আমাদের কোনো ঝামেলায় পড়তে হয়নি । যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এ্যাডভাইযারী কাউন্সিলের নির্বাহি পরিচালক শামারূখ মহিউদ্দীন , অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্য উপস্থাপনের পর ভয়েস অফ এ্যামেরিকার সঙ্গে আলাপকালে জানান – গোটা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জন হপকিন্স য়ুনিভার্সিটির school of advanced international studies বা sais-এর ডক্টর ওয়াল্টার এ্যান্ডারসান । বলেন ইদানিং sais-এর কতিপয় সদস্য ঢাকা গিয়েছিলেন এবং তাঁরা সরকার ও বেসরকারী খাতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগীতার পরিবেশ লক্ষ করে খুবই তুস্ট হয়েছেন । বলেন – এবং এইরকম সহযোগীতা যে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্যে অতীব গুরুত্পুর্ণ, কোনো সন্দেহ নেই তাতে ।