ইরানের ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনালড ট্রাম্প ইরানের ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন। সৌদি আরবের তেল স্থাপনা আক্রমনে তেহরান দায়ী খবর পাওয়ার পর এই নির্দেশ দেন ট্রাম্প। বুধবার ট্রাম্প বলেন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুশিনকে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঐ একইদিন ট্রাম্প তার চতুর্থ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার নাম ঘোষণা করেন।ভয়েস অফ আমেরিকা Zlatica Hoke এর প্রতিবেদন থেকে পড়ে শোনাচ্ছি আমি সানজানা ফিরোজ সঙ্গে রয়েছেন সেলিম হোসেন।

Your browser doesn’t support HTML5

ইরানের ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প


গত সপ্তাহে সৌদি তেল স্থাপনা আক্রমনের দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। বুধবার ট্রাম্প বলেন তেহরানের ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য তিনি অর্থ মন্ত্রণালয় কে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে ট্রাম্প হুঁশিয়ার করে বলেন তিনি সামরিক পদক্ষেপ নেবেন এর প্রতিশোধে। তবে বুধবার বলেন ইরানের ওপর আক্রমণ করতে তার কোনও তাড়া নেই।

ট্রাম্প বলেন, কাপুরুষের মতো কাজ করার অনেক সময় রয়েছে। এই ধরণের পদক্ষেপ নেয়া খুব সহজ তাই আগে দেখা যাক কি হয়। আমাদের কাছে অনেক তথ্য উপাত্ত রয়েছে। কিছু করতে হলে আমরা তা নির্দ্বিধায় করবো।

ক্যালিফোর্নিয়ার সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন তার নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়ান।

রবার্ট ও ব্রায়ান বলেন, আমরা ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমি যে কোনও পরামর্শ প্রেসিডেন্টকে দিই না কেন তা দেবো গোপনে।

সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার আরামকো তেল স্থাপনা আক্রমনে ব্যবহৃত ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের অবশিষ্ট অংশ প্রদর্শন করে।

সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কী আল মাল্কি বলেন, ইরান সরকার এবং ইসলামিক রেভোলুশনারি গার্ড কোর যন্ত্রাংশ এবং প্রযুক্তি থেকে প্রমাণ লুকাতে চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা ভুল করছে।IRGC এর বিরুদ্ধে আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে এবং আমরা তা জাতিসংঘ কে দেবো। এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে সঠিক মাধ্যম তা করবো।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সৌদি জুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সাল্মানের রিয়াদে দেখা করেছেন। যেদিক থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হোক না কেন ইরানের আরামকো তেল স্থাপনা আক্রমণকে তিনি যুদ্ধের সমতুল্য বলে অবিহিত করেন।তবে তেহরান এই আক্রমনের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করেছে। ইয়েমেনে এক হুথি মুখপাত্র বলেন, বিদ্রোহীরা তাদের সামরিক সামর্থ্য তৈরি করেছে।

হুথি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেন, আজ এবং প্রথমবারের মতো আমরা ঘোষণা করছি সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমাদের পরিসীমার মধ্যে কয়েক ডজন লক্ষ্যস্থল রয়েছে। কিছু লক্ষ্যস্থল রয়েছে আবু ধাবিতে এবং যেকোনো সময় আমরা আক্রমণ চালাতে পারি।

আরব লীগের নেতারা ইরানকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন তারা যেন ইয়েমেনের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে।

আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইত বলেন, গত কয়েকদিনে প্রমাণিত হয়েছে যে হুথিরা নিজেরা কোনও সিদ্ধান্ত নেয় না।অন্য দেশ থেকে তারা নির্দেশ গ্রহন করে। আমরা আবারও ইরানকে বলছি তারা যেন ইয়েমেন থেকে সরে আসে। সেখানকার মিলিশিয়াকে যেন অর্থ বা অস্ত্র সহায়তা প্রদান না করে।

ইয়েমেনের চার বছরের এই দ্বন্দ্বকে ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে প্রকারান্তরে একটি যুদ্ধ হিসেবে দেখা হচ্ছে।