আধুনিক বিজ্ঞান তথা পদার্থ বিজ্ঞানের জগতে অত্যন্ত সম্মানিত এক পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং। তাঁর দৈহিক জড়তা, অসুবিধা সত্ত্বেও মানসিক শক্তি দিয়ে যেন হারিয়েছিলেন বিজ্ঞানের চিরাচরিত ধারণাকে। ৭৬ বয়সে বিরাট অবদানের স্বীকৃতি নিয়ে চলে গেলেন বৃটিশ বিজ্ঞানী হকিং। আসুন তারই কিছু কথা শোনা যাক রোকেয়া হায়দারের কাছে।
Your browser doesn’t support HTML5
বিজ্ঞানের জগতে এক বিস্ময়ের নাম স্টিফেন হকিং
আমরা বিজ্ঞান জগতে নানান আশ্চর্য্য ব্স্তু দেখি কিন্তু একটি মানুষ হুইল চেয়ারে বসে, যিনি কথা বলতে পারেন না, তবুও সদাই হাসিমুখ। বৃটেনের নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেশিনের সাহায্যে বড় বড় লেকচার দিযে যান। গবেষণা করেন, পদার্থ ও মহাজাগতিক ধ্যানধারণা সম্পর্কে বই লেখেন ভাবা যায়? এমনিই এক বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। মাত্র ২২ বছর বয়সে এক বিরল মোটর নিউরন রোগের শিকার হলেন। চলাফেরা, কথা বলার শক্তি সবই হারিয়ে গেল। চিকিৎসকদের মতে যে তরুনের আয়ুষ্কাল হয়তো কয়েক বছরের মাত্র, তিনি ৭৬ বছর পর্যন্ত দারুণ মনোবল নিয়ে কর্মতৎপর জীবনের স্বাক্ষর রেখে গেলেন। তার মানসিক শক্তি ছিল ইস্পাত কঠিন। সব বাধাকে দূরে ঠেলে তিনি পড়াশোনা শেষ করলেন, অধ্যাপনার কাজ শুরু করেন এবং পদার্থ বিজ্ঞানের নানা রহস্য তাঁর জীবনে নতুন দিগন্তের দ্বার খুলে দেয়। তিনি বলেছিলেন-
"আমি জানাতে চাই যে আমি থিওরটিক্যাল ফিসিক্সে অন্যতম প্রধান সমস্যার সমাধান করতে পেরেছি। আমি কৃষ্ণগহ্বরের যে রশ্মি বিচ্ছূরিত হয় তা উদ্ভাবন করেছি।"
তিনি বলতেন– "আমি আশাকরি যে বিজ্ঞান মানুষের সাধারণ জীবনের সচেতনতার অংশ হয়ে দাঁড়াবে। আজ আমাদের কাছে যা অভিনব, আশ্চর্য্য মনে হচ্ছে আমাদের ছেলেমেয়ে তাদের সন্তানদের কাছে সেটা অতি সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে।"
স্টিফেন হকিং বলছিলেন, "আমি দীর্ঘ দিনের ধরে মহাশূন্যে যেতে চেয়েছিলাম এবং মহাশূন্যে ভ্রমনের প্রথম ধাপ হচ্ছে zero gravity flight. আমি যে খুব উচ্ছাসিত ছিলাম, তা আপনি বুঝতেই পারছেন। প্রায় চার দশক ধরে আমি হুইলচেয়ারে ছিলাম এবং শূন্য মধ্যাকর্ষন শক্তিতে স্বাধীন ভাবে ভেসে বেড়ানোর সুযোগটি হবে চমৎকপ্রদ। দেখা হবে শূন্য মধ্যাকর্ষন শক্তিতে।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শোভন আন্দালিব আহমেদ শিক্ষার্থী অবস্থায় দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এর সঙ্গে। লন্ডনে বসবাস করা শোভন আন্দালিব আহমেদের সঙ্গে সে সময়কার স্মৃতি জানতে ওয়াশিংটন স্টুডিও থেকে কথা বলেন রোকেয়া হায়দার।