রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে স্থানান্তরে প্রস্তুত বাংলাদেশ

বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা ভাসানচরে তৈরি হয়েছে প্রায় দেড় হাজার বাড়ি ও শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র। হাতিয়া ও সন্দ্বীপ উপকূলের মাঝামাঝি চরটিতে সড়ক, বাঁধ ও জেটিসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য। বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর বিষয়ে গঠিত টেকনিক্যাল এ্যাসেসমেন্ট এন্ড প্রোটেকশন সাব কমিটির ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ২৩ সেপ্টেম্বর চরটি পরিদর্শন করেছেন। ৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত দলটি ভাসানচরের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

কক্সবাজারের ৩০টি ক্যাম্পে ১১ লাখ রোহিঙ্গা দাগাগাদি করে বাসবাস করাতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশগতঝুঁকিসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই সরকার কিছু রোহিঙ্গাকে অস্থায়ীভাবে অন্যত্র স্থানান্তরের এই উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

তবে রোহিঙ্গারা বলছেন, যেখানে তারা আশ্রয় নিয়েছেন, কষ্ট হলেও সেখানে বেশ ভালো আছেন তারা। অন্য কোথাও স্থানান্তর করতে হলে স্থানটি তাদেরও পরিদর্শন করা দরকার বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা।
ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই দ্বীপটি পরিদর্শন করে বেশকিছু পরামর্শও দিয়েছেন। এসব গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন সরকার। সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগির ভাসানচরে স্থানান্তর হতে যাচ্ছে ১ লাখ রোহিঙ্গা।
ভাসানচরে স্থানান্তরের চেয়েও সাধারণ রোহিঙ্গারা নিজ দেশে অধিকার নিয়ে প্রত্যাবাসনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।

Your browser doesn’t support HTML5

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিলের রিপোর্ট