ইরান ইউরোনিয়াম মওজুদ বৃদ্ধি করায় পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষরদাতারা উদ্বিগ্ন

ইরানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের লক্ষে ২০১৫ সালের আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষরদানকারিদের অবশিষ্টরা মঙ্গলবার এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে পরিশোধিত ইউরেনিয়াম রাখার যে সীমা ইরানের জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে ইরান তা অতিক্রম করে গেছে।

ব্রিটেন , ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে যে এ ব্যাপারে তারা অবিচল এবং স্পষ্ট করে বলতে চায় যে পরমাণু চুক্তির ব্যাপারে তাদের প্রতিশ্রুতি নির্ভর করছে ইরান তা সম্পুর্ণ ভাবে মেনে চলছে কীনা তার উপর। তারা ইরানকে বলেছে যে তারা যেন আর কোন এমন পদক্ষেপ না নেয় যাতে এই চুক্তিকে খর্ব করা হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই তিনটি দেশ বলেছে যে ইরান যে সোমবার ঘোষণা করেছে তাদের ৩.৬৭% পর্যন্ত ইউরেনিয়াম পরিশোধনের পরিমাণ ৩০০ কিলোগ্রামের সীমা ছাড়িয়ে গেছে তার পর এই তিনটি দেশ জরুরি ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনা করে দেখছে।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গত বছর ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে আসেন, তবে অপর দুটি দেশ রাশিয়া ও চীন যারা এই চুক্তিতে রয়েছে তারাও ইরানের ইউরেনিয়াম মওজুদ রাখার সীমা অতিক্রম করার জন্য আপত্তি জানিয়েছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্গেই লাভরফ তেহরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপকে এ জন্য দায়ী করে বলেছেন যে এর ফলে ইরান অতিরিক্ত উৎপাদিত ইউরেনিয়াম বিক্রি করতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে তিনি ইরানকে আবেগ দ্বারা পরিচালিত না হয়ে সংযত হবার কথা বলেছেন এবং ঐ চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলতে বলেছেন।

চীন ও অনুরূপ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে এই ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করেছে যে ইরান তার ইউরেনিয়াম মওজুদের পরিমাণের সীমা অতিক্রম করেছে তবে এ কথাও বলেছে যে ওয়াশিংটনের অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি ছিল সমস্যার মূলে।