সিল্ক রোড অনসাম্বল

সিল্ক রোড অনসাম্বল

পাশ্চাত্য সঙ্গীত জগতের নন্দিত নাম ইয়ো ইয়ো মা। চেলো শিল্পী হিসেবে সঙ্গীতানুরাগীদের হৃদয়ে বিশেষ আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে আছেন তিনি। ১৫ বছর আগে তিনি পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে গুণী শিল্পীদের নিয়ে শুরু করেছিলেন সিল্ক রোড অনসাম্বল।
প্রাচীন সেই সিল্ক রোডের অনুকরণেই এই নাম। চীন থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত সাড়ে ৬ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সেই সিল্ক রোড ধরেই সেসময় বাণিজ্য চলত। আদান প্রদান হত মসলা, সুগন্ধী তেল, ঝকমকে পাথর, এবং সিল্ক বা রেশম। সিল্ক রোডের পন্যের মতই ব্যবসায়ীরাও ছিল নানান দেশের নানান বর্ণের।
ইয়ো ইয়ো মার সিল্ক রোড অনসাম্বলও এর ব্যতিক্রম নয়। নানান ধরনের, নানান মার্গের, নানার মাত্রার সুরের স্রোতধারা এসে মিশেছে এই সঙ্গমে। বৈচিত্রময় এই দলটির কম্পোজিশনে কখনও শুনতে পাবেন প্রাচীন সুর কখনবা নবীন-প্রাচীনের সংকর।
চেলোশিল্পী ইয়ো ইয়ো মা বললেন, আন্ত-সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান ও উপলব্ধিই ছিল সেই প্রাচীন সিল্ক রোডের সবচেয়ে মূল্যবান পণ্য। তিনি ২০টি দেশের শিল্পীদের একত্রিত করেছেন এই সিল্ক রোড অনসাম্বল-এ। চেষ্টা করেছেন ভিন্নতার মাঝে খুঁজে বের করতে মাঝে অভিন্নতাকে।
এই দলে্র শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন, ভারতের তবলাবাদক সন্দীপ দাশ, জাপানের কোজি, পারস্যের কেহান, ব্যাগপাইপ শিল্পী ক্রিস্টিনা পাটোর মত অনেকে। এরা প্রত্যেকেই তাঁর নিজ নিজ বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে তুলে আনছেন তাঁর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। তাঁদের পরিবেশনা যেমন শ্রোতাদের আপন করেছে ঘরোয়া আসরে, তেমনি মাতিয়ে তুলেছে সাঙ্গহাইএর বিশেষ অলিম্পিকের অনুষ্ঠান।
সঙ্গীত ও সংস্কৃতির ব্যবধান ডিঙ্গিয়ে ভালোবাসা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে এই সিল্ক রোড অনসাম্বল। আর শ্রোতাদের ভালোবাসার বন্ধনে জড়িয়ে ফেলছে তাঁরা।

Your browser doesn’t support HTML5

সিল্ক রোড অনসাম্বল