ফেরিতে পদদলিত হয়ে নিহত ৫ জন, আহত ৮

কোনো নিষেধাজ্ঞায় ঘরমুখি জনস্রোত থামানো যায়নি। যে করেই হোক, বাড়ি যেতেই হবে। সামনে বিপদ হতে পারে, এটা জেনেও তারা বেপরোয়া। বিপদ ঠিকই হলো। বুধবার দুপুরে মাদারীপুরের বাংলাবাজারে ফেরি থেকে নামতে গিয়ে পদদলিত হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আটজন। প্রায় তিন হাজার যাত্রী নিয়ে শাহ পরাণ নামের একটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাট থেকে রওনা হয়। বেলা ১২ টার দিকে ফেরিটি বাংলাবাজার পৌঁছামাত্র হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। এতে করেই তাদের মৃত্যু হয়।

সরকারিভাবে লকডাউন চলছে। প্রধানমন্ত্রী বাড়ি যেতে মানা করেছেন। বলেছেন, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাবে। তাই আপনারা যে যেখানে আছেন, সেখানে থেকেই ঈদ পালন করুন। কেউ শুনেনি। জীবনকে তুচ্ছ করে টানা সাতদিন একইভাবে মানুষজন গেছেন বাড়িতে। এসময় গণপরিবহন বন্ধ। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। ট্রাক, টেম্পু মাইক্রোবাসে করে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গেছেন। করোনার ভয়ে তারা মোটেও শঙ্কিত নন। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক শঙ্কিত এবং মর্মাহত। বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আছে। মানুষ যেভাবে বাড়িতে গেল, তাতে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরাও একই কথা বলছেন।

Your browser doesn’t support HTML5

ফেরিতে পদদলিত হয়ে নিহত ৫ জন, আহত ৮

চীনের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া পাঁচ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন টিকা গ্রহণ করে বলেন, চীনের সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশেও এই টিকা উৎপাদন করা যেতে পারে। আমাদের সে সামর্থ্য আছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, তার দেশে টিকার বিপুল চাহিদা রয়েছে। এরপরেও চীন বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে।

ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৪০ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ১৪০ জন।