অভিবাসন সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ওবামার ভাষণ নিয়ে স্টুডিও আলোচনা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট গতরাতে জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে অভিবাসন সম্পর্কে তাঁর সংস্কার নীতিমালা তুলে ধরেন। এই নীতিমালায় আইনসম্মত এবং নৈতিকতার যুক্তি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ব্যাপক পরিবর্তনের বিষয়টি জোরালোভাবে পেশ করেন।তিনি অবৈধ ভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী লোকজনের ব্যাপারে একটি পরিকল্পনার রূপ রেখা তুলে ধরেন। তাঁর এই পরিকল্পনা প্রেসিডেন্টর নির্বাহী আদেশের মাধ্যমেই কার্যকর করা হবে।

প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর ভাষণে বলেন যারা যুক্তরাষ্ট্রে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে আছেন, যাদের সন্তানেরা আমেরিকান নাগরিক কিংবা বৈধ বাশিন্দা , যদি নাম নথিবদ্ধ করতে চান , অতীতের কোন অপরাধ সংঘটনের রেকর্ড না থাকে এবং যদি যথার্থ কর দিতে যারা রাজি থাকবেন , তা হলে তারা বহিস্কার হওয়ার কোন আশঙ্কা ছাড়াই এ দেশে অস্থায়ী ভাবে অবস্থানের জন্যে আবেদন করতে পারেন। প্রেসিডেন্ট বলেন আপনারা তা হলে লুকোনো অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন এবং আইনের চোখে বৈধ হতে পারেন ।

এই নির্বাহী আদেশটি ৬ মাসের মধ্যে কার্যকর হবে এবং প্রায় চার লক্ষ সত্তর হাজার অভিবাসী ওয়ার্ক পারমিট পাবেন, যারা কি না দেশে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করেছিলেন।

রিপাবলিকানরা বলছেন যে প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণা কার্যত সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শনের মতোই । তারা এই পরিকল্পনা বাতিলের জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাবেন। হাউস স্পীকার জন বেনার বলেছেন যে এই আদেশ অসাংবিধানিক । তবে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন যে এ ধরণের নির্বাহী আদেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা বিভিন্ন সময়ে দিয়েছেন।

অবশ্য ডেমক্র্যাটিক সাংসদরা এর প্রশংসা করে বলেছেন যে এর ফলে অনেক পরিবার , যারা বিচ্ছিন্ন ভাবে বাস করছে , তারা একত্রিত হবে। তারা বলেন যে তিনি পরিশ্রমি জোনগোষ্ঠি যারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের শ্রম ও মেধা দিচ্ছেন , তাদের প্রতি ন্যায্য পদক্ষেপ নিচ্ছেন । কোন অপরাধীর জন্য নয় ।

অভিবাসন বিষয়ক সক্রিয়বাদী কর্মীরাও প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং তারা এ বিষয়টিকে বিতর্কিত করে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের বিরোধীতা করছেন।

Your browser doesn’t support HTML5

শুনুন স্টুডিও থেকে অভিবাসন বিষয়ে আলোচনা

এই অভিবাসন বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বক্তব্য সম্পর্কে ঢাকা থেকে একটি সাক্ষাৎকার ভিত্তিক প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন , আমাদের সংবাদদাতা আমির খসরু । এখন শুনুন সেই প্রতিবেদনটি

Your browser doesn’t support HTML5

শুনুন ওবামার অভিবাসন নীতি সম্পর্কে বাংলাদেশ থেকে প্রতিক্রিয়া