ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে একটি জনপ্রিয় হিন্দু মন্দিরে নববর্ষের দিনে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২ জন নিহত ও আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
শনিবার দিনের শুরুর দিকে মাতা বৈষ্ণব দেবী মন্দিরে পদদলিত হওয়ার এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ জম্মু শহরের নিকটের পার্বত্য শহর কাটরায় অবস্থিত এই মন্দিরটিতে হাজার হাজার হিন্দু ভক্ত শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে সমবেত হয়েছিলেন।
মহেশ নামের এক ভক্ত, যিনি শুধু নিজের প্রথম নামটিই প্রকাশ করেছেন, বলেন যে পদদলিত হওয়ার ঘটনাটি ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশ ও বহির্গমনের পথের একটি ফটকের কাছে ঘটে।
প্রিয়ানশ নামের আরেক ভক্ত জানান যে তিনি এবং নয়াদিল্লী থেকে তার ১০ জন বন্ধু মন্দিরটি দর্শনের জন্য শুক্রবার রাতে সেখানে যান এবং তার দুই জন বন্ধু ঘটনাটিতে নিহত হয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক টুইটার বার্তায় এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। মোদী লিখেন, “পদদলিত হয়ে প্রাণ হারানোর ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত”।
Extremely saddened by the loss of lives due to a stampede at Mata Vaishno Devi Bhawan. Condolences to the bereaved families. May the injured recover soon. Spoke to JK LG Shri @manojsinha_ Ji, Ministers Shri @DrJitendraSingh Ji, @nityanandraibjp Ji and took stock of the situation.
— Narendra Modi (@narendramodi) January 1, 2022
তীর্থযাত্রীরা প্রায়ই পায়ে হেঁটে পাহাড়ের চুড়ায় অবস্থিত এই মন্দিরে গমন করেন, যা উত্তর ভারতের সবচেয়ে বেশি দর্শন করা মন্দিরগুলোর একটি।
ভারতীয় ধর্মীয় উৎসবে পদদলিত হওয়ার ঘটনা বেশ নিয়মিত একটি বিষয়। উৎসবগুলিতে বিপুল জনসমাগম হয়, যা কখনও কখনও দশ লক্ষও ছাড়িয়ে যায়, যারা একটি ক্ষুদ্র এলাকায় সমবেত হন যেখানে নিরাপত্তা বা ভীড় সামলানোর তেমন ব্যবস্থাই থাকে না।
২০১৩ সালে একটি জনপ্রিয় হিন্দু উৎসবের সময় ভারতের মধ্য প্রদেশের একটি মন্দিরের দর্শনার্থীদের মধ্যে একটি সেতু ভেঙে পড়ার ভয় দেখা দিলে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে যাতে অন্তত ১১৫ জন পদদলিত হয়ে বা নিচের নদীতে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারান।
ভারতের দক্ষিণের কেরালা রাজ্যে ২০১১ সালে এক ধর্মীয় উৎসবে পদদলিত হয়ে ১০০ জনেরও বেশি হিন্দু ভক্ত নিহত হন।