গোটা বিশ্বে সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে বড় সাফল্য এসেছে- যুক্তরাস্ট্র পররাষ্ট্র বিভাগ

সন্ত্রাস দমনে কার্যকর ও শক্তিশালি পদক্ষেপের কারনে বিশ্বব্যাপী ইসলামিক স্টেট ও আল কায়েদার বিস্তার রোধ করা সম্ভব হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র বিভাগের বার্ষিক সন্ত্রাস দমন রিপোর্টে একথা বলা হয়েছে।

Your browser doesn’t support HTML5

গোটা বিশ্বে সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে বড় সাফল্য এসেছে- যুক্তরাস্ট্র পররাষ্ট্র বিভাগ

বুধবার প্রকাশিত রিপোর্ট বলা হয় সিরিয়া ও ইরাকে আল কায়েদার প্রভাব নিরসণ করার ক্ষেত্রে বড় সফলতা এসেছে, আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদীর মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে। একইভাবে আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের পুত্র হামজা বিন লাদেনের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে বড় সাফল্য এসেছে।

তবে এসব ছাড়াও সন্ত্রাসের করার মতো বড় বড় অনেক কিছু রয়ে গেছে। জিহাদী থেকে শুরু করে সুপ্রিমিস্ট; এমন গোটা বিশ্বে বহু সন্ত্রাসী দল রয়েছে বর্তমান যা দমনে ওয়াশিংটন থেকে নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, “সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রসাশনের তুলনায় এই প্রশাসন জোরালোভাবে কাজ করে চলেছে”।

পররাষ্ট্র বিভাগের সন্ত্রাস দমন বিষয়ক সমন্বয়ক নাদান সেলস বলেন, “আমাদেরকে সতর্ক থেকে সন্ত্রাসী দলগুলোর ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে”।

তিনি বলেন, “দেখা যাচ্ছে যেসব স্থানে আইসিস নির্মূল করা হয়েছে সেসব স্থানেও হঠাৎ হঠাৎ তারা অঘটন ঘটিয়ে বসছে, তারা বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক শক্ত করার চেষ্টা করছে, স্থানীয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সহায়তায়; এসব দিকে নজর দিতে হবে”।

পররাষ্ট্র বিভাগ থেকে সন্ত্রাস দমনের অংশ হিসাবে আইএস নেতা আবু ইব্রা্হিম আল হাশিমি আল কুরাশী’র জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণার কথা বলা হযেছে।

তবে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন আল কুরেশির দমনই যথেষ্ট নয়।

এ্যামেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের ক্যাথরিন জিমেরম্যান বলেন, “কুরেশীকে ধরলেই যে ইসলামিক ষ্টেট শেষ হয়ে যাবে তেমনটি নয়”। কারন এই হুমকী ইরাক ও সিরিয়া থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন স্থানে”।

রিপোর্টে বুরকিনা ফাসো, চাদ, মালি, মৌরতানিয়া, নাইজেরে সন্ত্রাস বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

সোমালিয়ায় আইসিস তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষণ রয়েছে বলে মত প্রকাশ করা হয়। এশিয়া ও দক্ষিন এশিয়ায় আইসিস বৃদ্ধির সম্ভাবনর বকথা বলা হয়। ফিলিপাইন মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়ায় সন্ত্রাস বিস্তারের আশংকা প্রকাশ করা হয়।

ইরাক সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আইসিস এখনো শক্ত বলে মত দিয়ে তা দমন আরো শক্তিশালি প্রয়াস নেয়ার ওপর জোর দেয়া হয়।

দক্ষিন এশিয়া বিশেষ করে ভারত বাংলাদেশ পাকিস্তানে সন্ত্রাসের অবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাংলাদেশ সেন্টার ফর টেরোরিজম রিসার্চ এর প্রধান শাফকাত মুনীর বলেন, বাংলাদেশএ সন্ত্রাস এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রনে। তবে কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে অনেক কিছুর মতোই সন্ত্রাসের চিত্রও বদলে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।