মানব পাচার মামলায় কয়েক ডজন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে থাইল্যান্ডের আদালত

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে থাইল্যান্ডের একটি আদালত মানবপাচার মামলায় কয়েক ডজন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী অভিবাসী পাচার চক্রের সঙ্গে এরা সরাসরি জড়িত বলে শুনানিতে উঠে এসেছে। এই চক্রের সঙ্গে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাসহ থাই সেনাবাহিনীর একজন জেনারেলও রয়েছেন।

তাদের বিরুদ্ধে থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে শরণার্থী ও অভিবাসী পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, মিয়ানমারের একাধিক নাগরিক, থাই পুলিশ কর্মকর্তা এবং কতিপয় স্থানীয় রাজনীতিক।

২০১৫ সালে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের জঙ্গলে একাধিক গণকবরের সন্ধান মেলে। সেখান থেকে ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরই পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়। পাচারকারীরা মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থী এবং প্রবাসে উন্নত জীবনের প্রত্যাশী বাংলাদেশীদের পাচার করে আসছিল। তাদেরকে নিয়ে গহীন জঙ্গলে আটকে রাখা হয়। আদায় করা হয় মুক্তিপণ। এরপর তাদের মালয়েশিয়া পাচার করা হয়। এর মধ্যে পথেই মারা যান অনেকে।

থাইল্যান্ড এখনও উদ্ধারকৃত গণকবরগুলো নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এবং ময়নাতদন্তের ফল প্রকাশ করেনি। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ২০১৫ সালে থাইল্যান্ডে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান এবং আইনী ব্যবস্থা নিলেও পাচার নেটওয়ার্ক বহুলাংশে সচলই রয়েছে। মতিউর রহমান চৌধুরী, ঢাকা

Your browser doesn’t support HTML5

মানব পাচার মামলায় কয়েক ডজন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে থাইল্যান্ডের আদালত