ইথিওপিয়ার বিমান হামলায় উত্তরপশ্চিম টিগ্রায়তে ৫৬জন নিহত, বলছেন ত্রাণকর্মীরা

ইথিওপিয়া সরকারি বাহিনীর বিমান আঘাতে বেঁচে থাকা লোকজন ডেডেবিট শহরের শায়ার সুহুল জেনারেল হসপিটালে চিকিৎসাধীন, ৮ই জানুয়ারি, ২০২২/রয়টার্স

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে, দুইজন ত্রাণকর্মী শনিবার রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, ইথিওপিয়ার টিগ্রায় অঞ্চলে বিমানহামলায়, বাস্তুচ্যুত মানুষদের একটি ক্যাম্পে ৫৬ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।

মন্তব্যের অনুরোধ করা হলে, সামরিক মুখপাত্র কর্নেল গেটনেট আডানে এবং সরকারের মুখপাত্র লেগেস টুলু তাৎক্ষণিকভাবে কোন সাড়া দেননি। ইতোপূর্বে সরকার, টিগ্রায়ের বিদ্রোহী বাহিনীর সঙ্গে ১৪ মাসব্যাপী এই সংঘাতে, বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে হামলার বিষয় অস্বীকার করেছিল।

অঞ্চলটির উত্তরপশ্চিমে, ইরিত্রিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত ডেডেবিট শহরে, শুক্রবার গভীর রাতে সেখানে হামলাটি ঘটে বলে ঐ ত্রাণকর্মীরা জানান, যারা তাদের নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন কারণ তারা গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত নন।

দুইজন ত্রাণকর্মীই বলেন যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মৃতের সংখ্যাটি নিশ্চিত করেছে। সেই ত্রাণকর্মীরা রয়টার্সকে কিছু ছবি পাঠিয়েছেন এবং বলছেন হাসপাতালে তারা আহতদের এই ছবিগুলি তুলেছেন। আহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে।

আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা শায়ার সুহুল জেনারেল হসপিটাল পরিদর্শন করা এক ত্রাণকর্মী বলেন যে, ক্যাম্পটিতে অনেক বৃদ্ধ মহিলা ও শিশু আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।

ইথিওপিয়ার ফেডারেল সেনারা টিগ্রায়ের বিদ্রোহীদের সাথে ২০২০ এর নভেম্বরে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে, রয়টার্স সকল পক্ষ দ্বারাই সংঘটিত নৃশংসতার খবর প্রকাশ করেছে। তবে সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলো তা অস্বীকার করেছে।

ত্রাণসংস্থাগুলোর প্রস্তুত করা একটি নথি অনুযায়ী, সর্বসাম্প্রতিক এই হামলার পূর্ব পর্যন্ত, টিগ্রায়তে হওয়া বিমানহামলায় ১৮ অক্টোবর থেকে অন্তত ১৪৬ জন নিহত ও ২১৩ জন আহত হয়েছেন। নথিটি এই সপ্তাহে রয়টার্সকে হস্তান্তর করা হয়।

[রয়টার্স]