সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে দেয়া রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে 'বীর উত্তম' খেতাব দেয়া হয়। সংবিধান লঙ্ঘন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের দেশত্যাগে সহায়তা ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জিয়াউর রহমানসহ উল্লেখিত পাঁচজন ও তাদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
Your browser doesn’t support HTML5
জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে বরাবরই অভিযোগ করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কোনো মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি। বিএনপি এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিঙ্গাপুর থেকে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, রাষ্ট্রীয় খেতাব 'বীর উত্তম' বাতিলের সিদ্ধান্ত মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অপমান। জিয়াউর রহমান একজন সেক্টর কমান্ডার। জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে জিয়াউর রহমান ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কথা আমরা ভাবতেই পারি না। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে গেছে, এখন তারা ইতিহাসের প্রতিষ্ঠিত সত্যগুলোকেও অস্বীকার করছে।