বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বুধবার আলোচনা, সেমিনার, মানব বন্ধন এবং চিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
ঢাকা থেকে বিস্তারিত জানিয়েছেন সংবাদদাতা জহুরুল আলম।
Your browser doesn’t support HTML5
জহুরুল আলমের রিপোর্ট মাদক
এ সকল অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশে তামাকের ব্যাবহার রোধে সরকারকে আর কোঠর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয় কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছরে যত লোক মারা যান, তাদের ৩০ শতাংশই ধূমপায়ী।
এতে বলা হয়, তামাক ব্যবহারজনিত কারণে হৃদ্রোগে মৃত্যুতে কর্মক্ষম ব্যক্তিরাই শীর্ষে রয়েছেন যার হার ৪১ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রতিবছর বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে মারা যান ১ লাখ ৬১ হাজারের ওপর মানুষ। তামাক ব্যবহারের কারণে ৩০ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৪১ শতাংশ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। অর্থাৎ পরিবারের কর্মক্ষম ব্যক্তিদেরই
মৃত্যু হচ্ছে। ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের মধ্যে তামাক ব্যবহারজনিত কারণে হৃদ্রোগে মৃত্যুর হার ৩৭ শতাংশ। এ ছাড়া ১২ শতাংশ কিশোর-কিশোরীধূমপানে আসক্ত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তামাক ব্যবহার করেন দেশে এমন মানুষের সংখ্যা এখন ৪ কোটি ১৩ লাখ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এ বিষয়ে ভয়েস অফ অ্যামেরিকার সাথে কথা বলেছেন বেসরকারি সংগঠনমাদক দ্রব্য এবং নেশা নিরোধ সংস্থা মানস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক অরুপ রতন চৌধুরী।
তিনি বলেন সমাজ থেকে যথা শীঘ্র সম্ভব তামাক এবং মাদকের মূলোৎপাটন করতে না পারলে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।