পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী সহিংসতার কারণে সমালোচনার মুখোমুখি তৃণমূল কংগ্রেস

পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসায় বহু লোকের মৃত্যু হয়েছে, বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং এই নিয়ে সারাদেশে সমালোচনার শিকার হতে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। আজ বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের মতো শপথ নেওয়ার পর রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার তাঁকে পাশে নিয়ে সমবেত শ্রোতা-দর্শকদের বলেন, 'আমাদের এখন অগ্রাধিকার হওয়া উচিত রাজ্যে হিংসা দমন করে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা। আমার ছোট বোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশা করি এখন প্রথমে এই দিকে নজর দেবেন।'' আগেই যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "আমাদের প্রথম কাজ হবে রাজ্যে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়া কোভিড পরিস্থিতি দমন করা। আমি এখান থেকে বেরিয়েই নবান্নতে গিয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসব। তার পর কোভিড মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানাব। এর পরেই আমাদের কাজ হবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা।"

Your browser doesn’t support HTML5

পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী সহিংসতার কারণে সমালোচনার মুখোমুখি তৃণমূল কংগ্রেস

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের বহু যোগ্য পুলিশ অফিসার ও প্রশাসনিক অফিসারকে ভোটের আগে নানা জায়গায় বদলি করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের আবার ফিরিয়ে আনা হবে। এই ক'দিন আমার হাতে সত্যিকারের ক্ষমতাও ছিল না। আমি সবার কাছে আবেদন করছি, খুনোখুনি মারামারির রাজনীতি বন্ধ করতে‌। পশ্চিমবঙ্গ হিংসার প্রশ্রয় দেয় না।"

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন। তবে আজ মমতা মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর সে সব কথা উল্লেখ না করে নরেন্দ্র মোদি একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, "পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে আবার শপথ নেওয়ার জন্য মমতা দিদিকে আমি অভিনন্দন জানাই।" উল্লেখ্য, ক'দিন আগেও ভোটের প্রচারের সময় মোদি যতবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন ততবারই ব্যঙ্গ করে "দিদি ও দিদি" বলে ডাক দিয়েছেন, যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে।