আজ শনিবার কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবারে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়লাভের পর এই প্রথম তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের সংগঠনের এবং প্রশাসনের সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে মিলিত হল। আজকের বৈঠকে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক কাজের মধ্যে মোটামুটি একটা সীমারেখা টেনে দেওয়া হয়েছে, যাতে সাংগঠনিক পদের অধিকারীরা প্রশাসনিক কোনও কাজে হস্তক্ষেপ করবেন না এবং প্রশাসনিক পদে যাঁরা আছেন তাঁরা সংগঠনে নাক গলাবেন না। বেশ কিছুদিন ধরেই এরকম একটা পদক্ষেপের কথা শোনা যাচ্ছিল যে দলে ও সরকারে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি নেওয়া হবে। তাতে কাজে গতি বাড়বে এবং শৃঙ্খলাও রক্ষা হবে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের বিশ্বাস।
Your browser doesn’t support HTML5
আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বৃহত্তর সাংগঠনিক পদ দেওয়া হয়েছে। তিনি আজই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদ ত্যাগ করেছেন। তাঁকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে ওই পদে ছিলেন মুকুল রায়। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নতুন সভানেত্রী হয়েছেন সায়নী ঘোষ। তিনি এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হলেও প্রথমবার রাজনীতিতে নেমে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন সংগঠন ও প্রশাসনের মধ্যে কাজের ভাগ আলাদা করে দেওয়াটাই ভালো। তাতে আগামী নির্বাচনে অশান্তি এড়িয়ে অনেক মসৃণ ভাবে এগোনো যাবে।