আজ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি ব্রিটেনের দ্য সান পত্রিকাকে যে সাক্ষাৎকারটি দিয়েছেন সে সম্পর্কে সেখানে বানোয়াট খবর ছাপা হয়েছে।তিনি বলেন আমি প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করিনি । প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধাবোধ আছে। দূর্ভাগ্যবশত পত্রিকায় বানোয়াট খবর ছাপা হয়েছে এবং আমি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে যে সব চমৎকার কথা বলেছি সেগুলো ছাপা হয়নি।ব্রিটেনের দ্য সান পত্রিকায় দেওয়া মি ট্রাম্পের এক বিস্ফোরণ ধর্মী সাক্ষাৎকার এই আলোচনায় রেখাপাত করেছে। ঐ সাক্ষাৎকারে তিনি ব্রেক্সিটের ব্যাপারটি মে যে ভাবে পরিচালনা করছেন তাতে তিনি তাঁর তীব্র সমালোচনা করেন এবং তাঁর সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রশংসা করেন। ট্রাম্প আরও বলেন যে টেরিজা মে ‘র স্থলাভিষিক্ত হবার জন্য তিনিই যোগ্য প্রার্থি। তা ছাড়া তিনি লন্ডনের অপরাধের জন্য শহরটির অভিবাসিদের দোষারোপ করেন্। ট্রাম্প ঐ সাক্ষাৎকারে মে ‘কে সতর্ক করে দেন যে ব্রিটেন যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে নাম মাত্র বেরিয়ে আসে তা হলে ব্রিটেনের সঙ্গে ভবিষ্যতে বানিজ্য চুক্তি সম্পাদন করা সম্ভব নয়। তবে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প তাঁর অবস্থান নমনীয় করে বলেন তিনি ব্রেক্সিটের ব্যাপারে টেরিজা মে ‘র দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মান করেন।দুই নেতা চেকার্সে মধ্যপ্রাচ্য এবং পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে আলাপ আলোচনা করেন। আলোচনার শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক আগের মতোই অটুট রয়েছে।চেকার্সে যাবার আগে ট্রাম্প স্যান্ডহার্স্টে রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি পরিদর্শন করেন। বৈঠকের পর তিনি , ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াকে নিয়ে উন্ডসার ক্যাসল এ রাণী এলিজাবেথের সঙ্গে এক চা চক্রে মিলিত হবেন। ট্রাম্প তাঁর এই সফরে হেলিকপ্টারে করে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন , তবে ব্রিটেনে তাঁর এই প্রথম সফরের সময়ে রাস্তায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে । লন্ডনের মেয়র সাদেক খা্ন বলেছেন এই সব বিক্ষোভ আমেরিকার বিরুদ্ধে নয় । এ হচ্ছে ভয় ও হাতাশার রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।