বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন। এ কারণে ঢাকায় অবস্থানরত সংস্থাটির কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চলাফেরায় নিরাপত্তা কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তাদের চলাচলকে সীমিত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বুধবার ইস্যু করা নিরাপত্তা বার্তায় বলা হয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকার গুলশান-১ ও গুলশান-২ এলাকায় মাত্র দুটি রেস্তরাঁয় যেতে পারবেন। এর বাইরে রয়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। জাতিসংঘের জন্য এসব পদক্ষেপ অনুমোদন করেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা টিম। বলা হয়েছে, গুলশান-১ ও ২ অঞ্চলে কূটনৈতিক এলাকায় যেসব রেস্তরাঁ জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেখানে সব জায়গায় উত্তম নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। রেস্তরাঁগুলোর নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। নিরাপত্তার যেসব বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে তা হলো নিবেদিত গার্ডস বা প্রহরা, বিভিন্ন জিনিসের বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। যেমন ব্যাগ স্ক্যানিং। মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবহার। শক্তিশালী দরজা ও জরুরিভিত্তিতে বহির্গমনের পথের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। অবস্থানরত স্থানের যতটা কাছে সম্ভব হতে হবে পার্কিং। যাতে রেস্তরাঁ থেকে পার্কিংয়ে রেখে আসা গাড়ির দূরত্ব কম হয়। উত্তম নিরাপত্তার জন্য সেখানে সশস্ত্র পুলিশের উপস্থিতি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেসব স্থান অতিরিক্ত জনবহুল সেসব স্থানে নৈশভোজে যোগ না দিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পূর্বেই ঘোষিত সময় ও তারিখে নিয়মিত কোনো স্থানে জমায়েত এড়িয়ে চলতে হবে। বেশি রাত করে এসব স্থানে হাজির না হতে বলা হয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ১০টার ভেতরেই ফিরে যেতে বলা হয়েছে, যাতে অপরাধের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সার্বিকভাবে নজরদারি ও সচেতনতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।
Your browser doesn’t support HTML5
মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট ইউএন